আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-সাংসদ-রাজনীতিকদের লেখা বইকে সূত্র হিসেবে উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা দেশে ও বিদেশে স্বীকৃত। আওয়ামীলীগ বা বিএনপি কেউ চাইলেই ইতিহাস পরিবর্তন করতে পারবে না। ইতিহাস লিখেন ইতিহাসবিদরা। রাজনীতিবিদরা ইতিহাস রচনা করলে সেটা হয় প্রোপাগান্ডা। তিনি বলেন, বিএনপি সব সময় জনগণের কথা চিন্তা করে। তাই করোনার কারণে শান্তিপূর্ণভাবে আগামী ২৭ মার্চ শহীদ জিয়ার স্মৃতিবিজড়িত কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে বিএনপি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন কর্মসূচি পালন করবে।
গতকাল নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয় কমিটির প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, শহীদ জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন এটাই ইতিহাস। ইতিহাসকে বিকৃত করে কোথাও কেউ টিকে থাকতে পারেনি। জিয়াউর রহমান ইতিহাস সৃষ্টিকারী, তিনি ইতিহাসের লেখক নন। স্বাধীনতা যুদ্ধের বিষয় আসলেই জিয়াউর রহমানের নাম আসবে। এতে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান আমরা করতে পারবো না, এটা হতে পারে না। গণতন্ত্র শুধু বিএনপির জন্য নয়, আওয়ামীলীগের জন্যও দরকার। শহীদ জিয়ার নাম রয়েছে মানুষের অন্তরে।
স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী উদযাপন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য সচিব মাহবুবের রহমান শামীম সভা পরিচালনা করেন। এতে বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, ড. সুকোমল বড়ুয়া, এস এম ফজলুল হক, নগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, কক্সবাজার বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রমবিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার, হারুন উর রশিদ, বেলাল আহমদ, আবদুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, শাহাব উদ্দিন শাবু, নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, উদয় কুসুম বড়ুয়া, কাজী মফিজুর রহমান, মশিউর রহমান বিপ্লব, ফেণী বিএনপির আহবায়ক শেখ ফরিদ বাহার, রাঙ্গামাটি বিএনপির সভাপতি মো. শাহ আলম, বান্দরবন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রেজা, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তাক আহমদ খান সহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের জেলা ও মহানগর নেতৃবৃন্দ।
