সবকিছু আছে ঠিক, আগেও যেমন ছিল,
রোজ রজনীর কপাট খুলে সকাল হাসে,
সন্ধ্যার কোলে টুপ করে সূর্য ডুব দিলে
তারাদের পসরা সাজিয়ে পৃথিবীর বুকে
রাত নেমে আসে নিঃশব্দে।
শুধু তুমি আর আমি নেই এক কক্ষপথে।
আমি এপারে বসে চোখ ভাসাই
তুমিও কি ওপারে আনমনে তাই.
তুমিবিহীন আজ ছায়াহীন পথিক আমি।
আর সেগুন ছায়ায় তুমি বিশ্রামে শান্ত সৌম্য।
আহা, খুব শান্তিতে আছো বুঝি!
তবুও রোজ আমাদের কথা হয়, গভীর শূন্যতায়,
নিরালায়, নিঃশব্দতায়, কিংবা
ঠাকুর ঘরে আমার নিত্য প্রার্থনায়।
তুমি যে আমার চেতনার বাতিঘর।
আমার কানে কানে বলে যাও
ভালো থাকার গোপন মন্ত্রগুলো বার বার।
কতদিন তোমাকে আঁকড়ে ধরেছি
পরম নির্ভরতায়, হয়তো হাঁটা শেখার
সময়ে কিংবা আম কুড়ানোর কালে
ভর দুপুরে সাঁতার কাটা শিখতে দিয়ে
হয়তো আমার সকল দুঃসময়ে।
আজ তোমার না থাকার দিনেও নিঃশব্দে
নদীর মতো বয়ে যাও আমার
অস্তিত্বে ও ভাবনায়, চেতনায়।
প্রতিবার শিশিরের আগমন জানিয়ে দেয়
তোমার প্রস্থানের সেই কৃষ্ণপক্ষের স্মৃতি।







