কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষায় অনুপস্থিত ২৩ হাজার ২০৬ জন

দেরিতে হওয়ায় উপস্থিতি কম

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ২৬ অক্টোবর, ২০২৪ at ৫:০৪ পূর্বাহ্ণ

সারাদেশে একযোগে কৃষিভিত্তিক ৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২০২৩২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) তত্ত্বাবধানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৮টি মূল কেন্দ্র এবং তিনটি উপকেন্দ্রে বেলা ১১টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে। এবার সর্বমোট ৭৫ হাজার ১৭ জন আবেদনকারীর মধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ৫১ হাজার ৮১১ জন ভর্তিচ্ছু। উপস্থিতির হার ৬৯ দশমিক ০৬ শতাংশ। ৩০ দশমিক ৯৪ শতাংশ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেননি। এবার কৃষি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে সর্বমোট আসন রয়েছে ৩ হাজার ৭১৮টি। ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হবে আগামী ৩০ অক্টোবর। সশরীরে ভর্তি প্রক্রিয়া চলবে ৯১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

সিভাসুর উপাচার্য ও কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান সিভাসু ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষার বিভিন্ন কক্ষ পরিদর্শন করেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। পরীক্ষা কার্যক্রম সু্‌ষ্ঠুভাবে সম্পাদনে সহযোগিতার জন্য উপাচার্য পুলিশ প্রশাসনকেও ধন্যবাদ জানান। পরিদর্শনকালে উপাচার্যের সঙ্গে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড সায়েন্স ও টেকনোলজি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. ফেরদৌসী আকতার, ফিশারিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. শেখ আহমাদআলনাহিদ, রেজিস্ট্রার মীর্জা ফারুক ইমাম এবং প্রক্টর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। উপস্থিতি কম হওয়ার ব্যাপারে সংশ্লিষ্টরা বলেন, এবার কৃষিগুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা অনেক পরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এজন্য অনেকেই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে গেছে। যার কারণে উপস্থিতি কম ছিল।

কৃষিগুচ্ছে থাকা ৯টি বিশ্ববিদ্যালয় হলো, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (আসন সংখ্যা১১১৬), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (আসন সংখ্যা৪৩৫), শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (আসন সংখ্যা৬৯৮), পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (আসন সংখ্যা৪৪৮), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (আসন সংখ্যা২৭০), সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (আসন সংখ্যা৪৩১), খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (আসন সংখ্যা১৫০), হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (আসন সংখ্যা৯০) ও কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (আসন সংখ্যা৮০)

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাংলাদেশিদের ই-ভিসা দেবে থাইল্যান্ড
পরবর্তী নিবন্ধকক্সবাজার-ঢাকা রুটে বিশেষ ট্রেন চালু