কৃষিভিত্তিক ৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২০২৩–২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল শুক্রবার। এদিন সকাল ১১টায় ৮টি মূল কেন্দ্র এবং ৩টি উপকেন্দে সারাদেশে একযোগে পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হবে। এবার কৃষি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে সর্বমোট আসন রয়েছে ৩ হাজার ৭১৮টি। আবেদন করেছে ৭৫ হাজার ১৭ জন। সে হিসাবে এবার এক আসনের বিপরীতে লড়বেন প্রায় ২০ জন ভর্তিচ্ছু।
গতকাল বুধবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান। উপাচার্য বলেন, কৃষিগুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনে এবার নেতৃত্ব দিচ্ছে সিভাসু। গুচ্ছ পদ্ধতিতে ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা এক বিশাল কর্মযজ্ঞ। এই প্রক্রিয়ার সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ১২টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পৃক্ততা রয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।
উপাচার্য আরও বলেন, ভর্তি পরীক্ষা ৮টি মূল কেন্দ্র এবং ৩টি উপকেন্দ্রে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। মূল কেন্দ্রসমূহ হল বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর; শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা; পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী; চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম; সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট; খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা এবং হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ। উপকেন্দ্রসমূহ হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা; খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), চট্টগ্রাম।
জানা যায়, ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হবে আগামী ৩০ অক্টোবর। এরপর সশরীরে ভর্তি প্রক্রিয়া চলবে ৯ ডিসেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর। কৃষিগুচ্ছে থাকা ৯টি বিশ্ববিদ্যালয় হলো, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (আসন সংখ্যা ১১১৬), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (আসন সংখ্যা–৪৩৫), শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (আসন সংখ্যা–৬৯৮), পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (আসন সংখ্যা–৪৪৮), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (আসন সংখ্যা–২৭০), সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (আসন সংখ্যা–৪৩১), খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (আসন সংখ্যা–১৫০), হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (আসন সংখ্যা–৯০) ও কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (আসন সংখ্যা–৮০)।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. কামাল, রেজিস্ট্রার মীর্জা ফারুক ইমাম, পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রাশেদুল আলম, প্রক্টর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, ভর্তি পরীক্ষার ফোকাল পয়েন্ট প্রফেসর ড. এ. কে. এম. সাইফুদ্দীন, ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর ড. আমীর হোসেন সৈকত এবং জনসংযোগ ও প্রকাশনা উপকমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. রায়হান ফারুক।