প্রতিদিন সকালবেলা ঘুম ভাঙার পর দিন শুরু করি স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে। কৃতজ্ঞতা জানানোর মাধ্যমে আমাদের প্রাপ্তিগুলো মস্তিষ্কের স্মৃতিতে পুনরায় ধারণ হয়, এবং আমাদের বিনয়ের চর্চা হয়। এভাবে আমরা প্রতিদিন ক্ষুদ্র পরিসরে হোক কিংবা ব্যাপক হারে হোক কারো না কারো সহযোগিতা পাচ্ছি। সেটা হোক কারো জন্য জায়গা ছেড়ে দিয়ে, কিংবা কাউকে আগে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়ে, যেকোনোভাবে হোক আমরা কিন্তু চলার পথে একে অন্যকে ছোটখাটো সহযোগিতা করে যাচ্ছি। এই জিনিসটা আমরা কতটুকু উপলব্ধি করতে পারি? এই উপলব্ধি চর্চা শুরু হয় কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে। আমাদের দেশে এই জিনিসের কদর হয় না, কারণ আমরা কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা মনে করি না! এবং এর চর্চার অভাবে একসময় আমাদের মস্তিষ্ক থেকে উঠে যায় যে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করাও কিন্তু অসম্ভব ভালো একটা কাজ। যা শুধু অন্যকে তার ভালো কর্মের জন্য উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি আপনার মধ্যেও একটা বিনয়ের চর্চা হচ্ছে যা নিত্যদিনের স্বল্প আকারে মুখে বলার মাধ্যমে আপনি নিজেও সে গুণগুলো অজান্তেই ধারণ ও রপ্ত করছেন। আমাদের দেশে এ জিনিসের চর্চা কে খুব একটা গুরুত্ব দেওয়া হয় না, বিনয়ের প্রকাশকে খাটো করে দেখা হয়! আমরা একে অন্যের সমালোচনা যত উচ্চৈঃস্বরে করে থাকি, কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন কিংবা অন্যের প্রশংসা যদি সেই স্বরে চর্চা করি দেখবেন অন্যের ভালো দিকগুলো নিয়ে ভাবতে ভাবতে নিজের মধ্যেই সে গুণগুলো আত্মস্থ করা হবে!