বঙ্গোপসাগরের বাঁশখালী-কুতুবদিয়া চ্যানেলের আদুরে কর্ডজাল ফিশিং ট্রলারের ধাক্কায় বাঁশখালীর ফিশিং বোট ডুবির ঘটনায় আরো ২২ মাঝিমাল্লা আজ সোমবার (৫ অক্টোবর) বিকালে কূলে ফিরে এলেও এখনও নিখোঁজ রয়েছে ১১ মাঝিমাল্লা।
তাদের মধ্যে ২ জেলে অপর একটি ফিশিং বোটে রয়েছে বলে সংবাদ পাওয়া গেলেও সোমবার রাত ৮টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তারা কূলে ফিরে আসেনি।
গত রবিবার সকালে বাঁশখালীর পশ্চিম চাম্বল বাংলা বাজার ঘাট থেকে ৩৬ জন মাঝিমাল্লা নিয়ে বঙ্গোপসাগরের বাঁশখালী-কুতুবদিয়া চ্যানেলের গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যায় চাম্বল এলাকার মো. ছগিরের মালিকানাধীন এফবি মায়ের দোয়া নামে ফিশিং বোটটি।
এ সময় একটি কর্ডজালের ফিশিং ট্রলার ওই ফিশিং বোটটিকে ধাক্কা দিলে সেটি উল্টে যায়।
এতে ওই ফিশিং বোটটি উল্টে গিয়ে বোটের সকল মাঝিমাল্লা সাগরের পানিতে পড়ে যায়।
এ ঘটনায় রবিবার রাতে ৩ জন এবং সোমবার বিকালে ২২ জন মিলে মোট ২৫ মাঝিমাল্লা কূলে ফিরে এলেও এখনও নিখোঁজ রয়েছে ১১ মাঝিমাল্লা।
ফিশিং বোটটির ফিরে আসা মাঝিমাল্লাদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত রবিবার সকালে বাংলা বাজার ঘাট থেকে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে অপর একটি ট্রলারের ধাক্কায় ফিশিং বোটটি সাগরের পানিতে তলিয়ে যায়।
এ সময় বোটটিতে থাকা ৩৬ মাঝিমাল্লার মধ্যে রবিবার রাতে ফিরে আসেন নুরুন্নবী (৪৫), দেলোয়ার (৩০) ও মহিউদ্দিন (৩৫)।
নিখোঁজ মাঝিমাল্লাদের মধ্যে আজ সোমবার বিকালে ফিরে আসা মাঝিমাল্লারা হলেন আবদুল কাদের, মো. সোহেল, অলি আহমদ, সাহাব উদ্দিন, ফিশিং বোটের মালিক মো. ছগীর, তপন মাঝি, নোয়া মিয়া, মো. এনাম, আজিজ মাঝি, ইন্দ্র বাঁশি, শ্রীমন্ত জলদাশ, কৃঞ্চপদ জলদাশ, দিদারুল আলম, বাবুল, তৌহিদ, শাহাদত, আজগর, মো. ইলিয়াস, মো. আজিজ, জহির আহমদ সহ ২২ জন।
তাদের কূলে ফিরে আসার খবর জানান প্রত্যক্ষদর্শী সাজ্জাদ মুহাম্মদ শাওন।
তিনি আরো জানান, বর্তমানে ৩৬ জনের মধ্যে ২৫ জন ফিরে আসলেও আরো ২ জন অপর একটি ফিশিং বোটে রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে সোমবার পশ্চিম চাম্বল বাংলাবাজার ঘাটে পরিদর্শনে আসেন চট্টগ্রামের সহকারী পুলিশ সুপার (আনোয়ারা সার্কেল) মো. মুফিজ উদ্দিন, বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল করিম মজুমদার ও চাম্বল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী।
এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানার ওসি মো. রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, “রবিবার রাতে ৩ মাঝিমাল্লা এবং সোমবার ২২ মাঝিমাল্লা কূলে ফিরে আসার খবর জানিয়েছেন জেলেরা। এখনও পর্যন্ত ১১ মাঝিমাল্লা নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজ মাঝিমাল্লাদের সন্ধানে বঙ্গোপসাগরে কোস্টগার্ডের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।”