সাংবাদিক নির্যাতন মামলায় কুড়িগ্রামের সাবেক জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। তিনি হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিনে ছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে সুলতানা পারভীন কুড়িগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে, বিচারক মোছা. ইসমত আরা শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার বরাতে বাদীপক্ষের আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু বলেন, সুলতানা পারভীন পাঁচ বছর আগে কুড়িগ্রামে কর্মরত থাকা অবস্থায় ‘বাংলা ট্রিবিউনের’ প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম রিগানকে বাড়ি থেকে তুলে আনার নির্দেশ দেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তার বিরুদ্ধে মাদক মামলায় এক বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে কারাগারে পাঠানো হয়। এ নিয়ে সাংবাদিকের আন্দোলনের মুখে একদিন পর জামিনে মুক্ত হন রিগান। ২০২০ সালের ৩১ মার্চ আরিফুল ইসলাম রিগান বাদী হয়ে সুলতানা পারভীনকে প্রধান আসামি করে চারজনের বিরুদ্ধে সদর থানায় অপহরণ এবং হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন বলে জানান তিনি। খবর বিডিনিউজের।
তিনি বলেন, সমপ্রতি চার আসামির নামে আদালতে অভিযোগপত্র প্রদান করে পুলিশ। অভিযোপত্রের ভিত্তিতে আসামিদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করে আদালত। পরে সুলতানা পারভীন হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নেন। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী জামিনের মেয়াদ শেষের আগে কুড়িগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে মঙ্গলবার শুনানির দিন ধার্য করা হয় বলে জানান আইনজীবী আজিজুর রহমান। তিনি বলেন, অভিযোপত্রের প্রধান আসামি সুলতানা পারভীনকে কারাগারে পাঠানোর মাধ্যমে আমরা প্রাথমিক ও সুষ্ঠু বিচার পেয়েছি। আসামিকে কারাগারে পাঠানোয় বিচার বিভাগের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক রিগান।
সাবেক জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন দাবি করে তার আইনজীবী ফখরুল ইসলাম বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ মোতাবেক নির্ধারিত সময়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন সুলতানা পারভীন। তবে আদালত আসামির জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় আবার উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা বলেছেন আসামিপক্ষের এই আইনজীবী।