কুমিল্লা কারাগারে দুই আসামির ফাঁসি কার্যকর

চট্টগ্রামের রেলওয়ে কর্মচারী শফিউদ্দিন হত্যা মামলা

| বুধবার , ৯ মার্চ, ২০২২ at ৭:০৮ পূর্বাহ্ণ

খুনের দায়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত দুজনের রায় কার্যকর হয়েছে কুমিল্লা কারাগারে। গতকাল মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টার দিকে দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয় বলে জানিয়েছেন কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ। খবর বিডিনিউজের।
ফাঁসি কার্যকর হওয়া শিপন হাওলাদার চট্টগ্রাম নগরীর খুলশীর দক্ষিণ আমবাগানের মৃত ইউনুছ হাওলাদারের ছেলে। তার আদি বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার নন্দনসার গ্রামে। আরেকজন নাইমুল ইসলাম ইমন চট্টগ্রাম নগরীর লালখান বাজার ডেবারপাড় এলাকার ঈদুন মিয়া সরকারের ছেলে। তার আদি বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার রতনপুর পূর্ব পাড়া এলাকায়। চট্টগ্রামের রেলওয়ে কর্মচারী শফিউদ্দিন হত্যামামলায় প্রায় ১৯ বছর পর এই দুই আসামির শাস্তি কার্যকর হয়।
কারা কর্মকর্তা শাহজাহান আহমেদ বলেন, সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। রায় কার্যকর হওয়ার পরও আইনি কিছু প্রক্রিয়া আছে। সেগুলো শেষ হলে রাতেই তাদের মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে। স্বজনরা লাশ নিয়ে চট্টগ্রামে যাবেন বলে জেনেছি।
ফাঁসি কার্যকরের সময় কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মীর মোবারক হোসাইন কারা অভ্যন্তরে ছিলেন।
নিহত শফিউদ্দিন বাংলাদেশ রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী-১ চট্টগ্রাম কার্যালয়ের উচ্চমান সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এছাড়া তিনি ছিলেন আমবাগান এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক। জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলে যুক্ত ছিলেন তিনি। ২০০৩ সালের ১৪ জুন চট্টগ্রাম নগরীর খুলশীর উত্তর আমবাগান রেলওয়ে কোয়ার্টারে বাসায় ঢুকে শফিউদ্দিনকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়েছিল।
মামলার অভিযোগপত্র ও কুমিল্লা কারাগারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, মদ, জুয়া ও রেলওয়ের অবৈধ সম্পদ দখলের প্রতিবাদে সোচ্চার থাকার কারণে তাকে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর তার স্ত্রী মাহমুদা বেগম বাদী হয়ে খুলশী থানায় মামলা করেন। ২০০৪ সালের ২৫ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল রায়ে শিপন ও ইমনকে মৃত্যুদণ্ড এবং সাত আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।
কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. আসাদুর রহমান বলেন, সাজার বিরুদ্ধে আসামিরা উচ্চ আদালতে আপিল করেছিলেন। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে ২০২১ সালে উচ্চ আদালত রিভিউ আবেদনও খারিজ করে দেয়। সর্বশেষ চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করা হলে সেটিও খারিজ হয়ে যায়। প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার ২১ থেকে ২৮ দিনের মধ্যে কারাবিধি অনুসারে ফাঁসির রায় কার্যকর করতে হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই দুই আসামি ২০০৪ সালেই গ্রেপ্তার হন। প্রায় তিন বছর আগে তাদেরকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয় বলে জানান জেলার আসাদুর।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশেয়ারের দাম কমবে ২% ।। বাড়বে আগের মতো ১০%
পরবর্তী নিবন্ধলেখক পাঠকের সরব উপস্থিতি বইমেলা বাড়ল দুদিন