কুমিল্লা এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শুভসূচনা

চিটাগাং রিজিয়নাল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট শুরু

ক্রীড়া প্রতিবেদক | শুক্রবার , ২৯ আগস্ট, ২০২৫ at ৫:২৩ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সহযোগিতায় আয়োজিত চিটাগাং রিজিয়নাল টিটোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টে শুভ সূচনা করেছে ফর্টিস কুমিল্লা এবং কন্টিনেন্টাল বিবাড়িয়া। গতকাল সাগিরিকাস্থ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফট্যানেন্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দিনের প্রথম ম্যাচে ফর্টিস কুমিল্লা ৩৪ রানে হারিয়েছে এবি ব্যাংক নোয়াখালীকে। একই মাঠে দিনের অপর ম্যাচে কন্টিনেন্টাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া সহজে ১৪৬ রানের বিশাল ব্যবধানে এশিয়ান বান্দরবান জেলাকে পরাজিত করে শুভ সূচনা করে। এই ম্যাচে বান্দরবান মাত্র ৪১ রানে অল আউট হয়ে যায়।

দিনের প্রথম ম্যাচে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে বেশ ভালই সুচনা করে কুমিল্লা। উদ্বোধনী জুটিতে ১৭ বলে ৩৫ রান তুলে নেয় কুমিল্লার দুই ওপেনার। এ জুটি ভাঙলে আর ২৪ রান যোগ করতে আরো ৩ উইকেট হারিয়ে বসে কুমিল্লা। পঞ্চম উইকেটে হাল ধরেন সাইফুল এবং ইয়াছিন আরাফাত। ৫৯ রান। মাত্র ১২ রানের ব্যবধানে ফিরেন দুই সেট ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ১৫৩ রানে থামে কুমিল্লার ইনিংস। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৪ বলে ৪২ রান করেন ইয়াছিন আরাফাত। ২৯ বলে ২৯ রান করেন সাইফুল ইসলাম। এছাড়া দুই ওপেনার মেহেদী হাসান এবং ইরফান সাবির করেন যথাক্রমে ১৮ বলে ২৫ এবং ১২ বলে ১৪ রান। শেষদিকে ৯ বলে ১৪ রান করেন স্বপন কুমার। নোয়াখালী জেলা দলের পক্ষে মোস্তাকিম, ইয়াছিন আরাফাত এবং মাকসুদুর রহমান প্রত্যেকে নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।

জবাবে ব্যাট করতে নামা নোয়াখালী জেলা দল ১৯ রানে প্রথম উইকেট হারায়। ২৯ রানে যেতে নেই তাদের ৪ উইকেট। সে চাপ সামলে নোয়াখালী ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করে মাকসুদুর রহমান এবং রায়ান সিদ্দিকের ব্যাটে। কিন্তু ৭০ রান যোগ করার পর এজুটি ভাঙলে আর দলকে টানতে পারেনি পরের ব্যাটাররা। শেষ পর্যন্ত ১১৯ রানে থামে নোয়াখালীর ইনিংস। দলের মাকসুদুর রহমান ৫৫ বলে ৫৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৩১ বলে ২২ রান করেন রায়ান ছিদ্দিক। ১৩ রান আসে আশরাফুলের ব্যাট থেকে। কুমিল্লা জেলা দলের পক্ষে ২২ রানে ৫টি উইকেট নিয়েছেন আশরাফুল হাসান। ২টি উইকেট নিয়েছেন নাহিদ সায়মন। বিজয়ী দলের আশরাফুল হাসান ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন।

দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট করতে নামে কন্টিনেন্টাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া। দুই ওপেনার আশফাক এবং সুমন ৭৪ রানের দারুন সুচনা এনে দেন দলকে। সে ভিতের উপর দাড়িয়ে দলের অন্য ব্যাটাররা ইনিংসকে নিয়ে যান ১৮৭ এর ঘরে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৫ বলে ৪৮ রান করেন সুমন। হাফ সেঞ্চুরিটা তিনি মিস করলেন দুই রানের জন্য। অন্যান্যের মধ্যে আশফাক ২২ বলে ২৯, খোরশেদ ৬ বলে ১২, শামীম ২৫ বলে ৩৯, শরীফ ৭ বলে ১৪ এবং সজিব মিয়া ১২ বলে করেন ৩০ রান। চারটি ছক্কা মেরেছেন তিনি। বান্দরবানের পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম এবং নাহিদ ইবনে নুর। ১৮৮ রানের বিশাল টার্গেট। সে টার্গেট তাড়া করতে নেমে মেন ব্যাটিং দরকার তার ছিটেফোটাও দেখাতে পারেনি বান্দরবান। প্রথম ওভারটা কোনরকমে নির্বিঘ্নে কাটালেও এরপর থেকে ক্রমাগত উইকেট হারাতে থাকে বান্দরবান। বিশেষ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং এর মুখে পড়ে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে। ফলে মাত্র ৪১ রান অল আউট বান্দরবান। দলেল একজান ব্যাটার দুই অংকের ঘরে যেতে পেরেছে। শাখাওয়াতের ব্যাট থেকে আসে ১৬ রান। চারজন আউট হয়েছেন রানের খাতা খোলার আগে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন সজিবুল আলম, মেহেদী হাসান, শামীম মিয়া, শরীফুল ইসলাম। বিজয়ী দলের শামীম মিয়া ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন।

সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। এসময় অন্যান্যের মধ্যে বিসিবি সহ সভাপতি নাজমুল আবেদীন ফাহিম, বিসিবি পরিচালক ও টুর্নামেন্ট কমিটির সদস্য সচিব আকরাম খান, বিসিবি পরিচালক মনজুর আলম মঞ্জু, কন্টিনেন্টাল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহসান ইকবাল আবির, ইস্পাহানী গ্রুপের পরিচালক মির্জা আলি ইস্পাহানী, এশিয়ান গ্রুপের ডিএমডি সাকিফ আহমেদ সালাম, ফর্টিস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহাদাত হোসেন, এবি ব্যাংক লিঃ এর রিজিয়নাল হেড মাহতাবুর রহমান, ক্লিপটন গ্রুপের এঙিকিউটিভ ডিরেক্টর সদর উদ্দিন চৌধুরী, বিসিবির হেড অব গেম ডেভেলপম্যান্ট হাবিবুল বাশার সুমন উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাংলাদেশকে হারাতে আত্মবিশ্বাসী নেদারল্যান্ডস
পরবর্তী নিবন্ধআবারও হারলো সাকিবের দল