কুমিল্লায় বিএনপির পদযাত্রায় লাঠিপেটা-গুলির অভিযোগ

পুলিশসহ আহত ২২ পদযাত্রায় হাঁটতে হাঁটতে মৃত্যুর কোলে বিএনপি নেতা

আজাদী ডেস্ক | রবিবার , ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৬:১২ পূর্বাহ্ণ

কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির পদযাত্রায় পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিপেটা ও গুলি চালানোর অভিযোগ করেছেন নেতারা। এ ঘটনায় দুই পুলিশসহ ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় ঢাকাচট্টগ্রাম মহাসড়কে চান্দিনা উপজেলার তীরচর এবং দেবিদ্বার উপজেলার সীমান্তবর্তী খাদঘর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে চান্দিনা থানার ওসি মো. সাহাবুদ্দীন খাঁন জানান। তিনি বলেন, ‘আত্মরক্ষার্থে পুলিশ ১৩টি রাবার বুলেট ছুড়েছে। পুলিশ কারও ওপর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে গুলি বা লাঠিপেটা করেনি।’ খবর বিডিনিউজের।

চান্দিনা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আরশাদ সাংবাদিকদের বলেন, পদযাত্রার জন্য প্রথমে নেতাকর্মীরা দাউদকান্দির দড়ানিপাড়া এলাকায় জড়ো হয়। সেখানে পুলিশের বাধার মুখে সবাই গোমতা ইসহাকিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে চলে আসেন এবং সেখান থেকে পদযাত্রা শুরু হয়। সেখানেও পুলিশ এসে আমাদের বাধা দেয়। পুলিশের এমন ভূমিকায় যুবদল নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ায় এবং ধস্তাধস্তি হয়। তখন পুলিশ এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ ও লাঠিপেটা করে।’ এতে অন্তত ২০ নেতাকর্মী আহত হয় বলে দাবি করেন কাজী আরশাদ।

এসব ব্যাপারে জানতে চাইলে চান্দিনা থানার ওসি সাহাবুদ্দীন বলেন, ‘পদযাত্রার নামে মহাসড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করছিল দলটির নেতাকর্মীরা। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে চান্দিনা থানা ও দেবিদ্বার থানার ভানী ক্যাম্পের পুলিশ সদস্যরা তাদেরকে মহাসড়ক থেকে নামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় তারা পুলিশের ওপর হামলা করে।’

পদযাত্রায় হাঁটতে হাঁটতে মৃত্যুর কোলে : পদযাত্রায় এসে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল জব্বার। গতকাল শনিবার বিকেল ৪টার দিকে চুয়াডাঙ্গা শহরের নতুন জেলখানার সামনে থেকে পদযাত্রায় অংশ নেন প্রায় সত্তর বছর বয়সী জব্বার। কিছুটা হাঁটার পরই তিনি বুকে ব্যথা অনুভব করেন। তারপর অসুস্থ হয়ে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান মোমিনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাবিবুর রহমান শেখন।

আব্দুল জব্বার আলমাডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। তার মৃত্যুর খবর পদযাত্রায় পৌঁছলে নেতাকর্মীরা শোকাহত হয়ে পড়েন। জেলাউপজেলার নেতারা অনেকেই তাকে দেখতে সদর হাসপাতালে ছুটে যান। বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান শেখন বলেন, আব্দুল জব্বার বিএনপির বলিষ্ট নেতা ছিলেন। দলের কোনো কর্মসূচিই তিনি বাদ দিতেন না। তিনি আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন। পদযাত্রায় অংশ নিয়ে তিনি আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার মৃত্যুতে আলমডাঙ্গা উপজেলায় বিএনপির অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিডিআর বিদ্রোহের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে বিএনপিও যুক্ত : তথ্যমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধকুয়াইশ জানালী হামদু শাহ সুন্নীয়া মাদ্রাসার সভা