গত ২১ আগস্ট থেকে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) এবং আনজুমানে রহমানিয়া মঈনীয়া মাইজভাণ্ডারিয়ার নিজস্ব উদ্যোগে ফটিকছড়ি, ফেনী, নোয়াখালীর বন্যা কবলিত এলাকায় আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার, আশ্রয় কেন্দ্র খোলা ও খাবার বিতরণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার দিনব্যাপী বিএসপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন এলাকায় বানভাসিদের সহযোগিতায় চাল, ডাল, লবণ, সয়াবিন তৈল পেঁয়াজ, আটা, খিচুড়ি, শুকনো খাবার চিড়া, মুড়ি, বিস্কুট, বিশুদ্ধ পানি, খাবার স্যালাইনসহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী ও রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়। বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি ও মঈনীয়া যুব ফোরামের ৩০টি টিম এসব কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে।
বন্যার্তদের সহযোগিতার সময় বিএসপি চেয়ারম্যান শাহজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী বলেন, চট্টগ্রাম ফেনী নোয়াখালী কুমিল্লার লক্ষ লক্ষ মানুষ বন্যার কারণে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এই মুহূর্তে তাদের সহযোগিতার বিকল্প নেই। বন্যাদুর্গত এলাকায় সকলে সীমাহীন কষ্টে রয়েছে। তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, দেশবাসীসহ বিএসপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দকে বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ও বন্যা পরবর্তী সময়ে পুনর্বাসনের আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন, কোনোরকম পূর্ব সতর্কতা ছাড়া ভারত ডম্বুর বাঁধ ও ফারাক্কার বাঁধ খুলে দিয়েছে, যা আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এই বিষয়ে ভারতকে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আনজুমানে রহমানিয়া মনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়ার কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলমগীর খান মাইজভাণ্ডারী, খলিফা মোহাম্মদ মোরশেদ আলম খান পবন, খলিফা মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন, খলিফা মোহাম্মদ আনোয়ার শাহাদাত জিয়াদ, বিএসপি ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা রুহুল আমিন ভূঁইয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আসলাম হোসাইন, মোহাম্মদ আবুল কালাম, কুমিল্লা জেলা বিএসপি সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় যুব বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান পায়েল, মাহবুবুল আলম খান শুভ প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।