সন্দ্বীপবাসীর যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম নৌপথ। কিন্তু কুমিরা–গুপ্তছড়া ও বাঁশবাড়িয়া ফেরীঘাটে যাত্রী হয়রানি, বেসরকারি নৌ অপারেটদের নৌ–পরিবহন পরিচালনায় বাধা দান এবং নিত্য চাঁদাবাজির মত ঘটনা ঘটে আসছে দীর্ঘ দিন ধরে। এহেন অনৈতিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে নৌ–ঘাটে গিয়ে প্রতিবাদী কর্মসূচি পালন করেছে জামায়াতে ইসলামী উত্তর জেলা। এসময় সংগঠনটি উত্তর জেলার নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে কুমিরা ঘাটে বিক্ষোভ সমাবেশও করে। গত শনিবার জামায়াতে ইসলামী উত্তর জেলা আমীর আলাউদ্দিন শিকদারের নেতৃত্বে বাঁশবাড়িয়া ফেরিঘাট পরিদর্শন শেষে কুমিরা নৌ–ঘাটে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উত্তর জেলা আমীর আলাউদ্দিন সিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার ছিদ্দিক চৌধুরী, মাহবুবুল মাওলা রিপন, অ্যাডভোকেট আশরাফুর রহমান, শামসুল হুদা, ইলিয়াস হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক নজরুল মাহমুদ প্রমুখ।
জামায়াতে ইসলামী উত্তর জেলা আমীর আলাউদ্দীন সিকদার তাঁর বক্তব্যে বলেন, সন্দ্বীপবাসীর যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম নৌ–পথে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে জোরপূর্বকভাবে যাত্রীদের পকেট হতে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পথ বন্ধ করতে হবে। বেসামরিক নৌ পরিচালকদের নিরাপত্তা ও নিশ্চিন্তে নৌ–পরিবহন সেবা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে। তিনি এসময় যাত্রীদের এপার–ওপার যাত্রা নির্বিঘ্নকরনের জন্য ফেরি ঘাটে কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ ও আনসার ক্যাম্প স্থাপন করতে বিআইডব্লিউটিএ’র প্রতি অনুরোধ করেন। সন্দ্বীপবাসীর প্রতিটি যৌক্তিক ও ন্যায্যদাবি আদায়ের জন্য জামায়াতে ইসলামী সব সময় পাশে থাকারও ঘোষণা দেন উত্তর জেলা আমীর। এ সময় বক্তারা বলেন, নৌ–বন্দর ও উপকূলীয় নৌ–বন্দর এলাকা হতে জেলা পরিষদ বিতাড়িত হয়েছে। তাই সন্দ্বীপের ৪ লাখ বাসিন্দার নৌ–পথে যাতায়াতের পথে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান একচেটিয়াভাবে ব্যবসা করার আর কোন সুযোগ নেই। সুতরাং সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন নিয়ে একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নৌ–ঘাটে কার্যক্রম পরিচালনার পথ সৃষ্টি হয়েছে। অতএব বর্তমানে সকলের জন্য উন্মুক্ত এই নৌ–ঘাটে নতুন নতুন বিনিয়োগকারীদের প্রতি যাত্রীসেবার মান বাড়ানোর জন্য উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান তারা ।