নিম্নচাপের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাস ও ভারি বৃষ্টিতে কক্সবাজারের উপকূলীয় উপজেলা কুতুবদিয়া ও মহেশখালীতে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জলোচ্ছ্বাসের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছে বেড়িবাঁধ। সাগরের পানিতে তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, মৎস্য ঘের ও অভ্যন্তরীণ রাস্তাঘাট। বাতাসে উপড়ে গেছে বহু ঘরবাড়ি। এখনও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পূর্ণাঙ্গভাবে নিরুপণ করতে পারেনি জেলা প্রশাসন। তবে উপকূলীয় এলাকায় বিধ্বস্ত হওয়া বেড়িবাঁধের তথ্য জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড–পাউবো।
পাউবো কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম জানান, নিম্নচাপের প্রভাবে মহেশখালী ও কুতুবদিয়ায় ১ হাজার ৬০০ মিটার (প্রায় এক মাইল) বেড়িবাঁধের ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে মহেশখালীতে ৯০৫ মিটার ও কুতুবদিয়ায় ৬৯৬ মিটার বেড়িবাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্ষার মৌসুমে জোয়ারের পানি ঠেকাতে কুতুবদিয়ার ভাঙা বেড়িবাঁধে জিও টিউব বসানোর জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অন্তত দুই কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। একইভাবে মহেশখালীর মাতারবাড়ী ও ধলঘাট ইউনিয়নের বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে এক কোটি টাকা। কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেলে দ্রুত বাঁধ মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হবে। কুতুবদিয়ার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আকতার কামাল সিকদার জানান, ইউনিয়নের কাহার পাড়া, কাজীর পাড়া, তেলিপাড়া, হায়দার পাড়া, আনিচের ডেইল, জেলেপাড়া ও বায়ু বিদ্যুৎ সংলগ্ন এলাকার বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত হয়েছে। ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যথোয়াইপ্রু মারমা বলেন, ভাঙা বেড়িবাঁধের কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা উৎকণ্ঠায় আছেন। দ্রুত মেরামত করা প্রয়োজন। তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সরওয়ার কামাল বলেন, ষাইটপাড়ার অন্তত এক কিলোমিটার অরক্ষিত বেড়িবাঁধের পাশে এক হাজার পরিবার বসবাস করে। তিন দফা বৃষ্টি ও জলোচ্ছ্বাসে পানি ঢুকে এসব পরিবারের বাড়িঘর, ফসলি জমি প্লাবিত করেছে। ১০টি কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। দ্রুত সংস্কার না করলে সামনে পূর্ণিমার জোয়ারের সময় ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে আরও বিস্তীর্ণ এলাকায় জোয়ারের পানি ঢুকে পড়বে।
মহেশখালীর ইউএনও মো. হেদায়েত উল্যাহ বলেন, জলোচ্ছ্বাস ও জোয়ারের পানির ধাক্কায় বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। তাই দ্রুত বেড়িবাঁধ সংস্কারের জন্য পাউবোকে অবহিত করা হয়েছে।
