উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের মধ্যে রাতভর দফায় দফায় গুলি বর্ষণ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। লাঠি ও ছুরিকাঘাতে দুই গ্রুপের মাঝে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে বলে রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন। বুধবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।
কুতুপালং পুরাতন নিবন্ধিত শরণার্থী ক্যাম্প ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান হাফেজ জালাল আহমদ জানান, ক্যাম্প আধিপত্য বিস্তার ও নিয়ন্ত্রণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরসা গ্রুপের নেতা মৌলভী আবু আনাস ও মো. রফিকের নেতৃত্বে মুন্না গ্রুপের মধ্যে বুধবার সন্ধ্যা থেকে রাত ২ টা পর্যন্ত দফায় দফায় গুলি বর্ষণ ও হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় সন্ত্রাসী হামলায় কুতুপালং ই–ব্লকের ১০/১২ টি ঝুপড়ি ঘর ভাঙচুর হয়।
কুতুপালং ২ নম্বর ক্যাম্পের হেড মাঝি সিরাজুল মোস্তফা বলেন, দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ছুরি ও লাঠির আঘাতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় দুইজনকে কঙবাজার সদর হাসপাতালে ও অন্যদের কুতুপালং এনজিও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উখিয়ার কুতুপালং মেগা ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত এপিবিএনের মধুরছড়া ক্যাম্পের আইসি পরিদর্শক ইয়াসিন বলেন, রোহিঙ্গাদের মধ্যে একাধিক গ্রুপ বিদ্যমান। কুতুপালং ক্যাম্পে নতুন পুরাতন রোহিঙ্গাদের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে একাধিক ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাতেও অনুরূপ ঘটনা ঘটে। তবে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেনি দাবি করে হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি দাবি করেন। উখিয়া থানার ওসি মোরশেদ বলেন, এ ব্যাপারে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।