করোনা মহামারীর এমন সময়ে যখন স্বজনের মরদেহের কাছে যাচ্ছেন না অনেকে তখন টেম্পোর ধাক্কায় মারা যাওয়া ছানাকে ছেড়ে যায়নি মা কুকুরটি।
আজ বৃহ্স্পতিবার (৬ মে) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে নগরী কাজীর দেউড়ি থেকে আসকার দিঘির পাড় সড়কে কালভার্টের পাশে মারা যায় কুকুর ছানাটি। এ ঘটনা দেখে কুকুর ছানাটির মা ডেকে আনে আরো বেশ কয়েকটি কুকুরকে। তারা এসে একযোগে ঘেউ ঘেউ করে পরে চলে গেলেও সন্তানকে ছেড়ে যায়নি ছানাটির মা। বাংলানিউজ
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় একটি ভবনের তত্ত্বাবধায়ক কিশোর মজুমদার বলেন, “ভোর সাড়ে ৬টার দিকে রাস্তা পারাপারের সময় কুকুর ছানাটিকে ধাক্কা দেয় দ্রুতগামী টেম্পো। এতে মুখে আঘাত লাগে এবং একটি পা ভেঙে যায় ছানাটির। এ অবস্থায় সেটি কর্ণফুলি টাওয়ারের সামনে সড়কের উপর পড়ে ছিল। পথচারী দুই কিশোরের সহায়তায় সেটিকে রাস্তার পাশে এনে রাখা হয়।”
তিনি বলেন, “এসময় রাস্তার অপর পাশ থেকে কুকুর ছানাটির মা ঘেউ ঘেউ করছিল। একটু পরেই ৮-১০টি কুকুরকে ঘটনাস্থলে ডেকে নিয়ে আসে। সবগুলো কুকুর সমস্বরে চিৎকার করার পর একে একে সবাই চলে গেলেও মা পাশেই বসে রয়েছে।”
স্থানীয় একটি ভবনের প্রহরী জানান, সেই ভোর থেকে ছানার পাশে মা কুকুরটি কখনও বসে কখনও দাঁড়িয়ে কান্না করছে। মানুষ কাছে গেলে ঘেউ ঘেউ করছে। এখন মানুষও মানুষের জন্য মারা গেলে এত সময় অপেক্ষা করে না।
দুপুর ২টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, সন্তানের নিথর দেহ পাহারা দিয়ে বসে আছে মা। কিছুতেই তাকে ফেলে যাবে না। মানুষ কিংবা পশু সব প্রাণীর মায়ের চেহারা যে একই সেটাই যেন ফুটিয়ে তুলছে সন্তানহারা এ কুকুরটি।