পরমাণু অস্ত্রবহনের জন্য জেটবিমান বা স্যাটেলাইট রকেটের পরিবর্তে একটি পুরনো দিনের ট্রেনের উপরেই নাকি ভরসা রেখেছে রাশিয়া। সে ‘ভূতুড়ে’ ট্রেনের মাধ্যমে মাত্র ৩ মিনিটে পরমাণু অস্ত্র ছোড়া যায়। এমন দাবি করেছিল ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম। কেমন দেখতে সেই ‘নিউক্লিয়ার ট্রেন’? এর ভিতরেই বা কী রয়েছে?
সূত্রের দাবি, রাশিয়ার ১২তম মুখ্য অধিদফতরের ট্রেনটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক গুপ্ত ইউনিটের মালিকানাধীন। পুতিনের এই অস্ত্রটি দেখতে আর পাঁচটা সাধারণ ট্রেনেরই মতো। পশ্চিমাদের কাছে ট্রেনটি পরিচিত ‘আরটি-২৩ মোলোডেতস’ নামে। রুশ ভাষায় ‘মোলোডেতস’-এর আক্ষরিক অর্থ ‘সাহসী মানুষ’। নেটোর খাতায় এই অস্ত্রটির আরও একটি নাম রয়েছে। নেটোর সাঙ্কেতিক ভাষায় একে ‘এসএস-২৪ স্ক্যালপেল’ বলে ডাকা হয়। রাশিয়া জুড়ে ঘুরেফিরে বেড়ালেও ‘আরটি-২৩ মোলোডেতস’কে প্রায় চিহ্নিত করা সম্ভব নয়।
জানা যায়, নিউক্লিয়ার ট্রেনটি রাশিয়া জুড়ে দৈনিক ১ হাজার ৬০৯ কিলোমিটার সফর করে। এটি সাধারণ ট্রেনের ‘ছদ্মবেশে’ ঘোরাফেরা করছে। এতে রয়েছে ১০টি এমআইআরভি ওয়ারহেড, যা থেকে ৫৫০ কিলোটিএনটি বিস্ফোরণ ঘটানো যায়। এমনকি যে কোনো চলমান জাহাজ বা ডুবোজাহাজে ক্ষেপণাস্ত্রও ছোড়া যায়। মস্কোর সবুজ সঙ্কেত পেলে মাত্র ৩ মিনিটেই নাকি এটি পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে সক্ষম।