কীটনাশক সংগ্রহের পূর্বে চবির পরামর্শ নেবে চসিক

মশক নিধন : উপাচার্যের সহযোগিতা চান মেয়র

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১৫ মার্চ, ২০২১ at ৫:৫১ পূর্বাহ্ণ

মশক নিধনে কীটনাশক সংগ্রহের পূর্বে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরামর্শ নেবে সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদদের সমন্বয়ে একটি টেকনিক্যাল টিম গঠন করে সহযোগিতা প্রদানে উপাচার্যের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। কমিটি চসিক যেসব কীটনাশক ছিটাচ্ছে এবং ভবিষ্যতে সংগ্রহ করবে তার কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মেয়র আজাদীকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। একটা চিঠিও দিয়েছি। মশক নিধনে কোটি কোটি টাকা খরচ করে লাভ কি? যদি এর কার্যকারিতা ঠিকভাবে না পাই। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদদের নিয়ে বিষয়গুলো পরীক্ষা করতে চাচ্ছি।
মেয়র বলেন, একটি প্রতিষ্ঠান কিছু কীটনাশক দিয়ে গেছে। সেগুলোও আমরা পরীক্ষা করে দেখব। এরপরও কোনো একটি ওয়ার্ডে পাইলট প্রকল্প পরিচালনা করব। সেখানে কার্যকর হলেই ওই ওষুধ সংগ্রহের পরিকল্পনা নেব।
এদিকে চসিকের চিঠির প্রেক্ষিতে গতকাল দুপুরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিনিধিদল টাইগারপাসে নগর ভবনে মেয়রের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। শিক্ষক নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও এসোসিয়েট প্রফেসর ড. রবিউল হোসেন ভূঁইয়া, এসোসিয়েট প্রফেসর ড. মো. ওমর ফারুক রাসেল ও কাজী নুর সোহাত। এ সময় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র বলেন, আমাদের ব্যবহৃত মশার ওষুধের মান ও কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তাই আমি মশার ওষুধের কার্যকারিতা ও মানের বিষয় বিস্তারিত জানার জন্য আপনাদের সহযোগিত চাই। কী ধরনের ওষুধ ব্যবহার করলে মশার প্রজনন ক্ষমতা ও মশার উপদ্রব কমবে এবং মশার যন্ত্রণা থেকে নগরবাসী রেহাই পাবে, সে বিষয়ে গবেষণা করে পরামর্শ প্রদানের অনুরোধ জনান মেয়র।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। তারা নগরের মিড আইল্যান্ডে ঔষধী গাছ লাগানোর পরামর্শ দেন। গত বৃহস্পতিবার চবি ভিসির কাছে চসিকের প্রধান নির্বাহী কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক স্বাক্ষরিত চিঠি পাঠানো হয়েছিল।
চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পূর্ণাঙ্গ মশা ধ্বংসকারী ৩০ হাজার লিটার এডাল্টিসইড, ৯৬ হাজার লিটার হাই স্পিড ডিজেল মিশ্রণসহ এলডিও, ১০টি ফগার মেশিন ও ২০০টি হ্যান্ড স্প্রে মেশিন কেনার পরিকল্পনা আছে।
উল্লেখ্য, মেয়রের নির্দেশে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন পরিদর্শন করে চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগের একটি টিম। তারা ঢাকায় মশক নিধন কার্যক্রমের সঙ্গে চসিকের তুলনামূলক পার্থক্য চিহ্নিত করে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনগরীতে আরো দুজনের আত্মহত্যা
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে সংক্রমণ হারের প্রকৃত চিত্র যে রকম