কীটনাশক ও বসতি বিস্তারে সংকটে পার্বত্য চট্টগ্রামের জীববৈচিত্র্য

রাঙামাটিতে জীববৈচিত্র্য প্রতিবেশ পুনরুদ্ধার প্রকল্পের সভায় বক্তারা

রাঙামাটি প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ at ১০:৪৯ পূর্বাহ্ণ

২০০০ সালের আগ পর্যন্ত প্রাণ প্রকৃতির ভারসাম্য মোটামুটি বজায় থাকলেও বর্তমানে সেই ভারসাম্য মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে, যার জন্য মূলত মানুষই দায়ী। পার্বত্য চট্টগ্রামে ক্রমাগত কমে যাচ্ছে জুম চাষ। একসময় বাজার থেকে এক কেজি বেগুন কিনে বাড়িতে আনার পর দেখা যেত, পোকায় নষ্ট হয়ে তা প্রায় আধা কেজিতে নেমে এসেছে। বর্তমানে সেই দৃশ্য আর তেমন দেখা যায় না; কারণ আগের মতো পোকামাকড়ের উপস্থিতি নেই। জুম চাষসহ সামগ্রিক কৃষিতে অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারের ফলে পোকামাকড়ের সংখ্যা কমলেও এর বিপরীতে মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে যাচ্ছে।

গতকাল সোমবার সকালে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের এনেক্স হলরুমে অনুষ্ঠিত এক সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে সমপ্রদায়ের সহনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জীববৈচিত্র্য প্রতিবেশ পুনরুদ্ধার প্রকল্প’ আয়োজিত এ সভার শিরোনাম ছিল ‘জীববৈচিত্র্য নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলোচনা সভা’। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য নাইউ প্রু মারমা (মেরী)

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেবপ্রসাদ দেওয়ান।

উপস্থিত ছিলেন প্রকল্পের ফোকাল পারসন ও জেলা পরিষদের কনসালটেন্ট অরুনেন্দু ত্রিপুরা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রকল্পটির জেলা কর্মকর্তা কামনাশীষ খীসা।

বক্তারা আরো বলেন, আমরা বিভিন্ন সময়ে রাঙামাটিতে হাতির আক্রমণে হতাহতের খবর পাই।

কিন্তু যে এলাকাগুলো থেকে এমন খবর আসে, সেখানে আগে হাতির আবাসস্থল ছিল। কিন্তু মানুষ এখন সেখানে বসতি তৈরি করছে, স্থাপনা গড়ছে। যে কারণে হাতিমানুষের দ্বন্দ্ব বেড়েছে। রাঙামাটি জেলায় দুইটির অধিক মৌজা বন (ভিসিএফ) রয়েছে। কিছু ভিসিএফ এখনো খুবই সমৃদ্ধ। এ প্রকল্পটির অধীনে ৫০টি ভিসিএফে কাজ করা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআনোয়ারায় নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন বিষয়ক অংশীজন সভা
পরবর্তী নিবন্ধবেনজিরের জব্দকৃত সম্পদ প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে হস্তান্তর করছে দুদক