ড় বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু পর্বতগুলোর ৩০টি রয়েছে হিমালয় পর্বতমালায় যার একটি হলো বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট। এর উচ্চতা প্রায় ২৯,০৩৫ ফুট যা ধরা হয় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে। আর প্রশান্ত মহাসাগরের তলদেশ থেকে মাটির উপর সর্বোচ্চ উচ্চতার পর্বতটি হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইতে অবস্থিত নিষ্ক্রিয় আগ্নেয়গিরি ‘মনা কী’ যার মোট উচ্চতা ৩৩,৪৭৪ ফুট।
ড় ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে এভারেস্ট পর্বতের নামকরণ করা হয় ওয়েলশ জরিপকারী ও ভূগোলবিদ কর্নেল স্যার জর্জ এভারেস্ট-এর নামে। নেপালী ভাষায় এর নাম ‘সাগরমাথা’ আর তিব্বতী ভাষায় ‘চোমোলুংমা’ যার অর্থ ‘পর্বতের মাতৃদেবী’। এভারেস্ট নামকরণের আগে এটিকে ইংরেজিতে ডাকা হতো ‘পিক ফিফটিন’ নামে।
ড় এভারেস্ট চূড়ায় আরোহনের জন্য ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে প্রথম চেষ্টা চালিয়েছিল একদল ব্রিটিশ পর্বতারোহী যে দলে ছিলেন জর্জ ম্যালরি নামে একজন পর্বতারোহী। পরবর্তীতে ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে জর্জ ম্যালরি এবং এন্ড্রু ইরভিন আরো একবার এভারেস্ট চূড়ায় উঠার চেষ্টা চালান। চূড়ায় আরোহনের পথে তাঁদের দেখা গেলেও সেই যাত্রাতেই মৃত্যু হওয়ায় তাঁরা আদৌ চূড়ায় পৌঁছেছিলেন কি না তা আর জানা যায়নি।
ড় ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দের ২৯ মে প্রথম যাঁরা এভারেস্ট চূড়ায় সফলভাবে আরোহন করতে পেরেছিলেন তারা হলেন নিউজিল্যান্ডের স্যার এডমন্ড হিলারি ও নেপালের শেরপা তেনজিং নোরগে।
ড় প্রতি বছর প্রায় ১ হাজার ২শ’ পর্বতারোহী মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় আরোহনের চেষ্টা করেন কিন্তু তাদের মধ্যে এভারেস্ট চূড়ায় উঠতে সক্ষম হন অর্ধেক সংখ্যক।
ড় এভারেস্ট হচ্ছে সবচেয়ে বেশি উচ্চতার কবরস্থান কারণ এর চূড়ায় আরোহন করতে গিয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ৩শ’ মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন যাদের অনেকের মরদেহ সেখানেই বরফের মধ্যে চাপা পড়ে আছে কারণ সেখান থেকে মরদেহগুলো নিচে নামিয়ে আনা বেশ কঠিন কাজ।
ড় মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছাতে গিয়ে প্রতি বছর প্রায় ৬ জন পর্বতারোহীর মৃত্যু হয়।
ড় বিশ্বের সর্বোচ্চ এ শৃঙ্গটির কাছে ‘রেইনবো রিজ’ নামে একটি গিরিপথ আছে। রেইনবো অর্থ রংধনু আর এ গিরিপথটির এরকম নামকরণের কারণ হলো সেখানে রঙিন পার্কা পরিহিত শত শত পর্বতারোহীর মরদেহ বরফে চাপা পড়ে আছে।
ড় আনুমানিক ৫ থেকে ৬ কোটি বছরের পুরনো এভারেস্ট পর্বতের উচ্চতা কিন্তু এখনও প্রতি বছর এক ইঞ্চির চার ভাগের এক ভাগ করে বাড়ছে। এর কারণ হলো ইন্ডিয়ান এবং ইউরেশিয়ান টেকটোনিক প্লেটের সংঘাতের ফলে পর্বতটির ওপর নিয়মিত চাপ।
ড় এভারেস্টের চূড়ায় বাতাসের গতিবেগ থাকে ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার (১০০ মাইল)-এর উপর।
ড় মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় সমুদ্রপৃষ্ঠের তুলনায় অঙিজেনের মাত্রা তিন ভাগের এক ভাগ।
ড় এটির চূড়ায় গ্রীষ্মকালে গড় তাপমাত্রা থাকে মাইনাস ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর শীতকালে মাইনাস ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরকম একটি খারাপ আবহাওয়াতেও বাবু ছিরি নামে এক শেরপা ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে এভারেস্ট চূড়ায় অতিরিক্ত অঙিজেন ছাড়াই ২১ ঘণ্টা অবস্থান করে বিশ্বরেকর্ড গড়েন।
ড় প্রথমবারের মতো এভারেস্ট চূড়ায় বিয়ে সম্পন্ন হয় ২০০৫ খ্রিস্টাব্দের ৩০ মে। মনি মুলেপাতি নামে এক নেপালী নারীর সাথে পেম দর্জি নামে এক শেরপার বিয়েটিতে ধর্মীয় কিছু আচার-অনুষ্ঠান পালনের জন্য তারা সেখানে ১০ মিনিট অবস্থানও করেন।