কিশোর গ্যাং অপসংস্কৃতি নির্মূলে খেলার মাঠ গড়া হচ্ছে

দারুল মারিফ মাদ্রাসা মাঠের সংস্কার কাজের উদ্বোধনীতে মেয়র

| রবিবার , ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ at ৬:২০ পূর্বাহ্ণ

আওয়ামী লীগের গড়ে তোলা কিশোর গ্যাং আর মাদকের অপসংস্কৃতি নির্মূলে শিশু কিশোর দের খেলার মাঠে ফেরানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে ৪১টি খেলার মাঠ গড়ে তোলা হচ্ছে বলে জানান তিনি। তিনি গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় নগরীর চাঁন্দগাও ওয়ার্ডস্থ জামেয়া দারুল মা’রিফ আল ইসলামিয়া মাদ্রাসা মাঠের সংস্কার কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি মোনাজাত পরিচালনা করেন।

মেয়রের খেলার মাঠ গড়ার কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করে ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, খেলার মাঠ শুধু বিনোদনের জায়গা নয়, এটি কিশোরদের চরিত্র গঠন, শৃঙ্খলা ও নৈতিকতার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বর্তমান সময়ে কিশোর গ্যাং ও মাদকাসক্তির মতো সামাজিক ব্যাধি থেকে তরুণ প্রজন্মকে রক্ষা করতে হলে খেলাধুলার সুযোগ বাড়ানো ছাড়া বিকল্প নেই। উপদেষ্টা বলেন, সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন যে দূরদর্শী চিন্তাভাবনা নিয়ে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে খেলার মাঠ গড়ে তুলছেন, তা শুধু নগর উন্নয়ন নয় বরং একটি সুস্থ, সচেতন ও নৈতিক প্রজন্ম তৈরির কার্যকর উদ্যোগ। এ ধরনের উদ্যোগে সমাজের সব শ্রেণিপেশার মানুষকে সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি। এসময় মেয়র বলেন, এই উদ্যোগ কোনো নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল না, বরং দায়িত্ব গ্রহণের পর নগরবাসীর বাস্তব চাহিদা ও বিদ্যমান সামাজিক সংকট বিবেচনায় নিয়েই তিনি এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে হাত দিয়েছেন।

তিনি বলেন, গত ১৬ বছরে নগরজীবনে ইভটিজিং ও কিশোর গ্যাং এই দুইটি ভয়াবহ সামাজিক চ্যালেঞ্জ দৃশ্যমানভাবে বেড়েছে। রাষ্ট্রযন্ত্রকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করে একটি প্রজন্মকে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়ানোর সংস্কৃতি তৈরি করা হয়েছে, যার খেসারত আজ সমাজকে দিতে হচ্ছে।

এই বাস্তবতায় দায়িত্ব গ্রহণের পর শপথের দিনই ঘোষণা দিয়েছি, চট্টগ্রাম শহরের ৪১টি ওয়ার্ডে ৪১টি খেলার মাঠ নিশ্চিত করা হবে এবং যেসব মাঠ অবহেলিত বা অচল অবস্থায় আছে, সেগুলো সংস্কার করে কিশোর ও যুবসমাজের জন্য খেলাধুলা ও বিনোদনের উপযোগী করে তোলা হবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন জামেয়া দারুল মাআরিফ আল ইসলামিয়ার প্রিন্সিপাল শায়খ ফুরকানুল্লাহ খলীল, জামেয়া দারুল মাআরিফের শিক্ষক মাওলানা নুরুল আমিন, মাওলানা আফীফ ফুরকান মাদানী, মাওলানা মাহমুদ মুজিব। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকালুরঘাট সেতু নির্মাণে বিলম্বের কারণ রাজনৈতিক দলগুলোর অন্তঃকোন্দল
পরবর্তী নিবন্ধআল্লামা ইকবাল একাডেমির পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান