কিশোরকবিতার বিষয়-বৈচিত্র্য নিয়ে সমকালীন কবিদের ভাবতে হবে

‘সাত কবির কিশোরকবিতা পাঠ ও আলোচনা’ অনুষ্ঠানে বক্তারা

| শনিবার , ১৩ জুলাই, ২০২৪ at ৫:৪৭ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম একাডেমির ফয়েজ নুরনাহার মিলনায়তনে গতকাল শুক্রবার শৈলী আয়োজিত ‘সাত কবির কিশোরকবিতা পাঠ ও আলোচনা’ অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, কিশোরকবিতার বিষয়বৈচিত্র্য নিয়ে সমকালীন কবিদের নতুন করে ভাবতে হবে। ভাবতে হবে ছন্দ, শব্দ ও আঙ্গিক নিয়ে। সাম্প্রতিক সময়ে যেভাবে কিশোরকবিতা লেখা হচ্ছে, ঠিক সেভাবে তার উত্তরণ ঘটছে না। কবিদের সম্ভাবনা ও প্রতিভাকে কাজে লাগাতে হবে।

কবিসাহিত্যিক রাশেদ রউফের সভাপতিত্বে আলোচক ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. আহমেদ মাওলা ও শিশুসাহিত্যিক জসীম মেহবুব। এ পর্বে কবিতা পাঠ করেন কবি অরুণ শীল, আজিজ রাহমান, ইসমাইল জসীম, কানিজ ফাতিমা, প্রদ্যোত কুমার বড়ুয়া, লিটন কুমার চৌধুরী ও সুবর্ণা দাশ মুনমুন। আবৃত্তি করেন আবৃত্তিশিল্পী সৌভিক চৌধুরী, প্রতিমা দাশ, মোহাম্মদ সেলিম ভূঁইয়া, সূচি দেব, তহুরা পিংকি, হৈমন্তী তালুকদার ও মৌসুমী পান্না। এছাড়া শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন গল্পকার বিপুল বড়ুয়া, শিল্পী কেশব জিপসী, কথাসাহিত্যিক দীপক বড়ুয়া, নাসের রহমান, জসিম উদ্দিন খান, অমিত বড়ুয়া ও ইফতেখার মারুফ। ড. আহমেদ মাওলা বলেছেন, শিশুকিশোর মনোজগত সম্পূর্ণ আলাদা। খোলা, নির্মল, নরম কাদা মাটির মতো। তাদের জন্য লেখা সাহিত্য জগতও স্বতন্ত্র। শুধু আনন্দের জন্য নয়, শিশু সাহিত্যের মধ্যেমে জ্ঞানবিজ্ঞানইতিহাস, নৈতিকতাবোধ ও বিশ্বপ্রকৃতিকে জানার জন্য আগ্রহী করে তোলার একটা উদ্দেশ্য থাকে।

কিশোরকবিতার ধরন এরকম হওয়াই প্রত্যাশিত। নাতিদীর্ঘ অথচ সহজসাবলীল ভাষা, স্বচ্ছন্দ গতি এবং চমৎকার অন্ত্যমিল। জসীম মেহবুব বলেছেন, কবিতার সংজ্ঞা দিতে গিয়ে কবিরা নানা কথা বলেছেন। একটি কথা আমাদের মনে রাখা দরকার, কিশোরকবিতা লিখবো ঠিক আছে। তবে, তাকে আগে কবিতা হতে হবে। শব্দ, ছন্দের পাশাপাশি সৌন্দর্য ও কবিতার ব্যঞ্জনাই যদি না থাকে, তাহলে কিসের কবিতা? হতে পারে পদ্য, ছড়া বা বর্ণনাধর্মী কিছু কথামালা। কথামালা তো আর কবিতা হতে পারে না। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধলংকাবাংলা সিকিউরিটিজ কর্মীদের পুঁজিবাজার বিষয়ে প্রশিক্ষণ
পরবর্তী নিবন্ধরামু মনিরঝিলে ক্ষতিগ্রস্ত সেতু পরিদর্শনে হুইপ কমল