কিরিচ ও ইট দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল মারুফকে

টিপুসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১৬ নভেম্বর, ২০২০ at ৯:২৫ পূর্বাহ্ণ

নগরীর আগ্রাবাদে পূর্ব বিরোধের জেরে যুবলীগ কর্মী মারুফ চৌধুরী প্রকাশ মিন্টুর মৃত্যুর ঘটনায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও যুবলীগ নেতা নামধারী ক্যাডার মোস্তফা কামাল টিপুসহ সাতজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে অজ্ঞাতনামা আরো ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। গত শনিবার রাত ১১টা নাগাদ ডবলমুরিং থানায় এই ঘটনায় মামলা দায়ের করেন নিহতের বড় বোন রোজি চৌধুরী। মামলার এজাহারে মারুফের মাথা ও কাঁধে ইট ও ধারালো কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে ও আঘাত করে রক্তাক্ত করার পর তার মৃত্যু নিশ্চিত করতে এলোপাতাড়ি মারধরের অভিযোগ আনা হয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে। ডবলমুরিং থানার ওসি সদীপ কুমার দাস এই হত্যা মামলা দায়েরের বিষয়টি আজাদীকে নিশ্চিত করেছেন। মামলায় আগ্রাবাদ কমার্স কলেজ রোডের মো. আক্তারের ছেলে রমজান আলীকে (২৫) প্রধান আসামি করা হয়েছে। দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে আগ্রাবাদে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বর্তমানে যুবলীগ নেতা নামধারী ক্যাডার মোস্তফা কামাল টিপুকে (৪০)। টিপু ডবলমুরিং থানার মগপুকুর এলাকায় ছবুর মাস্টারের ছেলে। পর্যায়ক্রমে বাকী আসামিরা হলেন, মোগলটুলী এলাকার মৃত সামছুল আলমের ছেলে মো. নাহিদ (২৮), পাঠানটুলীর মৃত ফয়েজ আহম্মদের ছেলে মাহবুব (৩৫), মোগলটুলীর সেলিম খানের ছেলে ফয়সাল খান (২২), একই এলাকার মৃত এয়াকুব আলীর ছেলে শাহেদ (৩৬) ও দপ্তরীপাড়া এলাকার মৃত নুর মোহাম্মদ সওদাগরের ছেলে মো. রাব্বী (২৭)।
এজাহারে অভিযোগ আনা হয়েছে, গত ১২ নভেম্বর রাত ৯টা ৪০ মিনিটে দামড়া পুকুর পাড় এলাকায় (আগ্রাবাদ হোটেলের পাশে) জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রকাশ মারুফ চৌধুরীকে একটি দোকানের সামনে একা পেয়ে আসামিরা তার ওপর হামলা চালিয়েছে। পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রথমে রমজান আলী ধারালো কিরিচ দিয়ে পেছন থেকে মারুফের মাথায় কোপ মেরে তাকে রক্তাক্ত করে। পরে নাহিদের হাতে থাকা কিরিচের কোপও গিয়ে পড়ে মারুফের কাঁধে। এ সময় ফয়সাল ইট দিয়ে মিন্টুর চোখে আঘাত করে। পরে মিন্টু মাটিতে পড়ে গেলে বাকী আসামিরা তার মৃত্যু নিশ্চিত করতে তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করেছে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে পরদিন সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিন্টু মারা যায়। নিহত মারুফ ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ সালেহ আহমদ চেয়ারম্যান বাড়ির হাজী কামাল চৌধুরীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বর্তমানে যুবলীগ নেতা নামধারী ক্যাডার মোস্তফা কামাল টিপুর অনুসারী হিসেবে এলাকায় পরিচিত রমজান, নাহিদসহ অন্যান্যরা। টিপু সাবেক মেয়র আ. জ. ম. নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে এলাকায় পরিচিত।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ক’দিন আগে আগ্রাবাদে যুবলীগ নেতা নামধারী আরেক ক্যাডার আলমগীর চৌধুরী প্রকাশ পিচ্চি আলোর লাগানো পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে রমজানসহ আরও কয়েকজন। এ ঘটনায় মারুফসহ কয়েকজন মিলে রমজানকে ধরে মারধর করে। এতে রমজান প্রতিশোধ নিতে সুযোগ বুঝে দলবল নিয়ে মারুফের ওপর হামলা করে। পিচ্চি আলোর ছোটো ভাই ছিলেন নিহত মারুফ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের চিরপ্রস্থান
পরবর্তী নিবন্ধযেভাবে বাংলাদেশি থেকে ভারতীয় হলেন সৌমিত্র