মায়ের কিডনি প্রতিস্থাপন করেও বাঁচানো গেল না কলেজ শিক্ষার্থী কামরুল হাসান ইমনকে (২০)। গত মঙ্গলবার রাতে রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনা হেলথ কেয়ার হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার। সন্তানকে হারিয়ে পাগল প্রায় ইমনের মা-বাবা। এলাকাবাসী ও সহপাঠীদের মাঝে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ইমন উপজেলার চন্দ্রঘোনা-কদমতলী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড ছুপিগোট্টা এলাকার মুহাম্মদ সোলাইমান সওদাগরের ছেলে। পরিবারের তিন ভাইয়ের মধ্যে সে দ্বিতীয় সন্তান। গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় ছুফি পাড়া মসজিদ মাঠে তার নামাজে জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।
জানা যায়, ২০২০ সালে ইমস অসুস্থ হওয়ার পর জানা যায় তার দুটো কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে। চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতের অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে তার কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে ৪০ বছর বয়সী ছলিমা বেগম তাঁর একটি কিডনি দিয়েছিলেন। ভারতে কিডনি প্রতিস্থাপন শেষে দেশে ফিরে রাঙ্গুনিয়া সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিলেন ইমন।
কিন্তু কয়েকদিন আগে হঠাৎ আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন ইমন। তাকে রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনা হেলথ কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত মঙ্গলবার রাতে মৃত্যু হয় তার।
নিহত ইমনের মামা চন্দ্রঘোনা কদমতলী ইউনিয়ন ৪ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য গাজী মোহাম্মদ এনাম বলেন, ইমন মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলো। সে জিপিএ-৫ পেয়ে দাখিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।