কিছু ব্যবসায়ী ও আমলা নবায়নযোগ্য জ্বালানির বাধা : ফাওজুল কবির

| মঙ্গলবার , ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ at ৭:৪৭ পূর্বাহ্ণ

নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তরের ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ খাতের কিছু ব্যবসায়ী ও মন্ত্রণালয়ের কিছু কর্মকর্তাকে ‘একমাত্র বাধা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এ উপদেষ্টা বলেন, জীবাশ্ব জ্বালানির উপর নির্ভরতা করা ছাড়া আমাদের উপায় নেই। বাধ্যবাধকতার জন্য এটি আমরা করছি। এমন না যে, এটা আমাদের পছন্দের। অন্য উপায় থাকলে এলএনজি আমদানি করতাম না।

গতকাল সোমবার বাংলাদেশ এনার্জি কনফারেন্সের সমাপনি দিনে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকার একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলোজিকাল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’ এ সম্মেলন আয়োজন করে। উপদেষ্টা বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা থেকে নবায়নযোগ্য শক্তিতে যাওয়ার একমাত্র বাধা হলো বিদ্যুৎ খাতের কিছু ব্যবসায়ী ও মন্ত্রণালয়ের কিছু কর্মকর্তা। তারপরও আমরা একটা রূপান্তরের মধ্যে দিয়ে যেতে চাই। তিনি বলেন, যদি আজকে উপায় থাকত, আমরা এলএনজি আমদানি সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিতাম। আমাদের যদি উপায় থাকত, আমরা এসব কয়লাভিত্তিক কেন্দ্র বন্ধ করতাম। কিন্তু বিদ্যুৎ ও অন্যান্য শিল্পের গ্যাসে একটা চাহিদা আছে, সেটার জন্য আমরা বাধ্য হয়ে এটা করছি। তবে আমরা চাচ্ছি, একটা রূপান্তর হোক, যেন আমরা আমাদের এই জীবাশ্ব জ্বালানির নির্ভরতা কমিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে যেতে পারি। খবর বিডিনিউজের।

জ্বালানি খাতের কিছু ব্যক্তি কেন নবায়নযোগ্য শক্তির বিকাশ চান না, তার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে উপদেষ্টা বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা থাকলে তাদের সঙ্গে (সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা) যে একটা লেনদেনের সুবিধা আছে, সেটা আর থাকবে না। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবসায়ী ও বিদ্যুৎ খাতের কর্মীরা। এ খাতের ব্যক্তিরা আলাপআলোচনা করে একটা লেনদেন করে, যেন একটি পুরাতন ব্যবস্থা বহাল থাকে। আপনারা জানেন, আগে কোনো রকম টেন্ডার না করেই কতগুলো প্রকল্প দেওয়া হয়েছিল। এখন আমরা সেই প্রকল্পগুলোর নতুন করে দরপত্র দিয়েছি। ফলে বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ প্রতি ইউনিটে ৯ থেকে ১০ টাকায় চলে এসেছে।

সৌর শক্তির উৎপাদন ও ব্যবহার বাড়াতে সরকার করছাড় সুবিধা দিচ্ছে জানিয়ে জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, একটি দুর্নীতিপূর্ণ ব্যবস্থা থেকে যখন দুর্নীতিমুক্ত ব্যবস্থায় আমরা যেতে যাই, তখন কিছু স্বাভাবিক বাধার মুখে পড়ি। তারপরও আমরা দুর্নীতিমুক্ত করব এ খাত।

নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবস্তা না করে এলএনজি আমদানি বন্ধ করে দিলে পুরো দেশ অন্ধকারে ঢেকে যাবে এবং শিল্পকারখানার উৎপাদন ও রপ্তানি ব্যাহত হবে বলে মন্তব্য করেন ফাওজুল কবির খান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনির্বাচনের দিনই গণভোট : সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছে জামায়াত নেতৃত্বাধীন ৮ দল
পরবর্তী নিবন্ধযুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ও ইয়ুথ ভয়েসের মধ্যে ভবিষ্যৎ সহযোগিতা জোরদারে বৈঠক