কিউবায় বিক্ষোভ মুখোমুখি অবস্থানে সরকার-জনগণ

| মঙ্গলবার , ১৩ জুলাই, ২০২১ at ১০:৫০ পূর্বাহ্ণ

ক্যারিবিয়ান সাগরের তীরবর্তী দেশ কিউবায় ব্যাপকমাত্রায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলছে। রাজাধানী হাভানাসহ বিভিন্ন এলাকায় এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ায় তা নিয়ন্ত্রণে ইতোমধ্যে দেশটিতে কারফিউ জারি করতে বাধ্য হয়েছে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট সরকার।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমসমূহ কিউবার এই বিক্ষোভকে ‘বিরল’ ঘটনা বলে উল্লেখ করেছে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় ৩০ বছর পর এত বড় মাত্রায় বিক্ষোভ হলো দেশটিতে।
বিবিসি ও রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিক্ষোভের সূত্রপাত ঘটে রাজধানী হাভানা থেকে। রোববার বেলা ১১ টার দিকে হাভানার প্রধান সড়কসমূহে জড়ো হতে থাকেন হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। কিউবার বর্তমান প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ ক্যানেলের পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দিয়ে মিছিল শুরু করেন তারা। পরে কিউবার পালমা সোরিয়ানো, সান্টিয়াগো, সান আন্তোনিও দে লস বানোসসহ বিভিন্ন ছোটবড় শহরেও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
হাভানার বিক্ষোভে অংশ নেওয়া মিরান্ডা লাজারা (৫৩) নামে এক নৃত্য শিক্ষক মার্কিন বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেন, আমরা খুবই কঠিন সময় পার করছি। দেশের সরকার ব্যবস্থার পরিবর্তন ছাড়া এই দুঃসময় কাটবে না।
সান আন্তোনিও দে লস বানোস শহরের বাসিন্দা কার্লিস রেমিরেজ জানিয়েছেন, দেশে খাবার এবং ওষুধের দাম প্রায় আকাশছোঁয়া। লোডশেডিং দিন দিন অসহনীয় অবস্থায় পৌঁছাচ্ছে। বেকারত্বের হার দিন দিন বাড়ছে। করোনা সংক্রমণও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।
রোববার সন্ধ্যায় দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া এক ভাষণে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভাড়াটে সৈন্যরা কিউবাকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে, কিন্তু তাদের এ ষড়যন্ত্র কখনো সফল হবে না। আমরা দেশের সব বিপ্লবী, কমিউনিস্টদের আহ্বান জানাচ্ছি আপনারা এই ভাড়াটে সেনাদের রুখে দিন। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার হাভানায় বিক্ষোভকারী ও
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে সংঘাত হয়েছে। আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা লাঠিচার্জ, পিপার স্প্রে ছোড়ার পাশাপাশি অন্তত কয়েক ডজন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধওয়ানডে সিরিজে খেলবেন তামিম
পরবর্তী নিবন্ধদক্ষিণ আফ্রিকায় ছড়িয়ে পড়ছে সহিংসতা