প্রত্যয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক একাডেমির উদ্যোগে গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রামের আঞ্চলিক মাইজভাণ্ডারী মরমি গানের কিংবদন্তি শিল্পী আবদুল গফুর হালীর ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। প্রত্যয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক একাডেমির মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত স্মরণানুষ্ঠনে বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে ছিল আলোচনা, স্মৃতিচারণ এবং সংগীত সন্ধ্যা। গফুর হালীর স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। প্রত্যয়ের নির্বাহী সদস্য এস এম হারুনর রশীদ এর সভাপতিত্বে শুরুতেই বক্তব্য রাখেন প্রত্যয়ের নির্বাহী পরিচালক আবদুল্লাহ ফারুক রবি। অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন আব্দুস সাত্তার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল বশর। তিনি বলেন, আবদুল গফুর হালী আঞ্চলিক, মাইজভান্ডারী ও মরমি সংগীত স্রষ্টা। তিনি শুধু গান ও সুরের সৃষ্টি করেননি, করে গেছেন আধ্যাত্তিক চর্চাও। গুণী এ শিল্পীর সৃষ্টি আমাদের সবার কাছে তুলে ধরতে হবে। একাডেমির নির্বাহী পরিচালক আবদুল্লাহ ফারুক রবি বলেন, আবদুল গফুর হালীর সৃষ্টি সবার মাঝে তুলে ধরা আমাদের সবার দায়িত্ব। তাঁকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মান জানানো সময়ের দাবি। শিবু মল্লিকের সঞ্চালনায় স্মরণানুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন সঙ্গীত শিল্পী কল্যাণী ঘোষ, শিমুল শীল, গীতা আচার্য, রাজনীতিবিদ ইউছুপ রশীদ বেলাল, সালেহ আহমেদ হাসান বানু ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ডা. শাখাওয়াত হোসাইন হিরু, খেলাঘর চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সভাপতি অধ্যাপক ভগিরত দাশ,পটিয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হাকিম রানা, কালের কন্ঠ শুভ সঙ্গের কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব রানা মিত্র, চিত্র শিল্পী হামেদ হাসান, সঙ্গীত শিল্পী মোহাম্মদ আলী আমিরী, তবলা শিল্পী নিতাই পদনাথ, আবৃত্তি শিল্পী নীহারিকা পাল, নৃত্য প্রশিক্ষক হৈমন্তী দে। বক্তারা আরো বলেন, গফুর হালী চট্টগ্রামের গান নিয়ে এতটাই কাজ করেছেন যে, চট্টগ্রামের গানের ভাণ্ডার কত ঋদ্ধ তিনি তা ইতিমধ্যেই প্রমাণ করে গেছেন। এমন গুণগ্রাহী মানুষ আমাদের বর্তমান সমাজে সচরাচর পাওয়া যায় না। তার মত বিরল প্রতিভার মানুষের কোন আদর–কদর আমাদের সমাজে নেই। সারাজীবন নিরীহ নিভৃতচারী প্রচারবিমুখ এই সাধক নিজেকে লুকিয়ে রেখেছন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।












