চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. জাকির হোসেন বলেছেন, পার্টনারশিপ বা কোম্পানি এক হলে লাইসেন্সের ক্ষেত্রে মূল মালিক পরিবর্তন হলেও সমস্যা হবে না। তবে নতুন রুলসে কি রয়েছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কোনো নির্দেশনা আছে কি না, সেগুলা দেখে এগুলো সমাধান করবো। লাইসেন্স কখনো হস্তান্তরযোগ্য নয়। তবে এ সমস্যাটা সমাধানে আইনই প্রাধান্য পাবে।
গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের সম্মেলন কক্ষে ব্যবসায়ীদের সিএন্ডএফ লাইসেন্সিং বিধিমালা সংস্কার, বন্ডের জরিমানা রহিতকরণ, আমদানিকৃত গাড়ি খালাসে জটিলতা নিরসনসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে বঞ্চিত ব্যবসায়ী ফোরামের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ট্রেডকে সহযোগিতা করাটাই হলো বড় কাজ। বাংলাদেশের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ আমদানি হয় চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে। বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিত্ব থাকবে। সেই বিষয়ে আমিও আপনাদের সঙ্গে একমত। আমি এ বিষয়ে প্রতিনিধিকে স্বাগত জানাচ্ছি। ঊর্ধ্বতন সবার কাছে আপনাদের এঙেস থাকবে। এছাড়া বন্ডের ক্ষেত্রে কোনো অনিয়মই গ্রহণযোগ্য হবে না।
সভায় ব্যাবসায়ী ফোরামের আহ্বায়ক এসএম সাইফুল আলম বলেন, বঞ্চিত ব্যবসায়ী ফোরামের দৃঢ় ভূমিকার কারণে চট্টগ্রাম চেম্বারকে আমরা কলঙ্কমুক্ত করতে পেরেছি। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসেও একসময় দুর্নীতি ও নানা অনিয়মের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের শিল্পখাত, বিশেষত উৎপাদনমুখী শিল্প কারখানা। এ দুর্নীতির কারণে দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছিল।
তিনি বলেন, বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কাস্টমস হাউসকে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরির আহ্বান জানাচ্ছি। তাছাড়া আমদানি–রপ্তানি বাণিজ্য আরো গতিশীল করে পূর্ণাঙ্গ অটোমেশন চালু, অযৌক্তিক শুল্ক নির্ধারণ বন্ধ, অনিয়ম ও হয়রানি বন্ধ করে দ্রুত পণ্য খালাসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
বঞ্চিত ব্যাবসায়ী ফোরামের আহ্বায়ক ও বন্দর ইউজার এসএম সাইফুল আলমের নেতৃত্বে মতবিনিময় সভায় কাস্টমস হাউসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বঞ্চিত ব্যবসায়ী ফোরামের সদস্য সচিব শহিদুল ইসলাম চৌধুরী ও সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী শওকত আলীসহ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের নির্বাহী সদস্য আবু সালেহ, জামাল উদ্দিন বাবলু, অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক, বন্দর ট্রাক কাভার ভ্যান মালিক এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির সোহেল, কাশেম গ্রুপের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, সিএন্ডএফ ব্যাবসায়ী মীর মোহাম্মদ নাছির, জয়নাল আবেদীন জিয়া, শাহনেওয়াজ রুমি, হারুনুর রশিদ বাবুল প্রমূখ।