কাস্টমের সার্ভারে ত্রুটি ব্যাহত শুল্কায়ন প্রক্রিয়া

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১৫ মার্চ, ২০২১ at ৫:৪৮ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে সার্ভার সিস্টেমে ত্রুটির কারণে আবারও শুল্কায়ন প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আমদানি-রপ্তানি সংশ্লিষ্টদের দাবি, গত বৃহস্পতিবার ও গতকাল সার্ভারে ধীরগতি ছিল। ফলে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করতে সময়ক্ষেপণ হয়। এর আগেও বিভিন্ন সময় সার্ভার সিস্টেমে ত্রুটির কারণে শুল্কায়ন ও পণ্য খালাস ব্যাহত হয়।
আমদানিকারকরা বলছেন, সার্ভার ত্রুটির এই সমস্যাটি দীর্ঘদিন ধরে চলমান রয়েছে। এ বিষয়টি কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে বিভিন্ন সময় জানানো হয়েছে। কিন্তু স্থায়ী কোনো সমাধান মিলেনি। প্রায় সময় সার্ভার হ্যাং করে ও নেটওয়ার্ক চলে যায়। এতে আমদানিকারকের কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য গতিশীল করার লক্ষ্যে ১৯৯৫ সালে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে অটোমেশনের যাত্রা শুরু হয়। এক সময় অ্যাসাইকুডা প্লাস প্লাস ভার্সন থাকলেও ২০১৩ সাল থেকে অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড পদ্ধতি চালু হয়। এই পদ্ধতিতে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমের প্রায় সবকিছু অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হচ্ছে। কিন্তু মাঝে মাঝে সার্ভারের গতি কমে যাওয়া কিংবা বিকল হয়ে যাওয়ার ফলে আমদানিকারকদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। গত বছর একাধিকবার সার্ভারের ত্রুটির কারণে শুল্কায়ন কার্যক্রম টানা বন্ধ ছিল। বর্তমানেও সমস্যা রয়ে গেছে। দেখা গেছে, যে কাজ এক মিনিটে হওয়ার কথা সেটি করতে পাঁচ মিনিট লাগছে। কাস্টমসে আমদানি-রপ্তানি মিলে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার বিল অব এন্ট্রি দাখিল হয়।
চট্টগ্রাম সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী রিগ্যান আজাদীকে বলেন, গত বৃহস্পতিবার সার্ভার ত্রুটির কারণে আমাদের বিল অব এন্ট্রি দাখিল করতে বেগ পেতে হয়েছে। তবে আজ (গতকাল) বিকেল আড়াইটা থেকে কাজ এক প্রকার বন্ধ হয়ে যায়। একটা বিল অব এন্ট্রি দাখিলসহ শুল্ক কর পরিশোধ করতে যেখানে ৫ মিনিট লাগার কথা, সেখানে আধা ঘণ্টা-এক ঘণ্টায়ও কাজ হচ্ছিল না। বর্তমান সরকার পেপারলেস অটোমেশন সিস্টেম প্রমোট করার উদ্যোগ নিচ্ছে। সেখানে বারবার জোড়াতালির এই সার্ভার আমাদের জন্য গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি অনেকবার এনবিআরের আইটি সেকশনসহ কাস্টম কমিশনার মহোদয়ের কানে তুলেছি। বিষয়টি এনবিআর দেখছে এবং নতুন সার্ভার কেনা হচ্ছে বলে আমাদের বারবার আশ্বস্ত করা হয়। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সিস্টেম এনালিস্ট মোহাম্মদ আহসান হাবীব সুমন বলেন, আমি এখন ছুটিতে আছি। সার্ভারের বিষয়ে কিছু জানি না।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সহকারী প্রোগ্রামার মোহাম্মদ মোরশেদ আলম বলেন, সার্ভারের তেমন কোনো জটিলতা আমার চোখে পড়েনি। তবে অ্যাসাইকুডা সফটওয়্যারের অ্যাকসেস আমদানিকারক-সিঅ্যান্ডএফদের দেওয়া হয়। ওখানে কোনো জটিলতার জন্য সমস্যা হতে পারে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধখাল-নালায় ময়লা ফেললেই শাস্তি
পরবর্তী নিবন্ধলেডি গ্যাং লিডার তিন দিনের রিমান্ডে