প্রতারণার মাধ্যমে জাল কাগজপত্র দিয়ে আমদানিকৃত পণ্য খালাস করে ২৪ লক্ষ ৩৩ হাজার ৫০২ টাকা শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের দুই কর্মকর্তা, এক সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী ও এক আমদানিকারকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বুধবার দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ (সজেকা-১) এ মামলাটি দায়ের করেন একই কার্যালয়ের উপ পরিচালক মো. আবু সাঈদ। মামলার আসামিরা হল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান নগরীর আগ্রাবাদ আজিম কোর্টের নেপচুন ট্রেডিং এজেন্সির মালিক ইকবাল হোসেন মজুমদার, সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী বনলতা শিপিং এজেন্সির মালিক মো. আবদুল মান্নান চৌধুরী, চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) মো. রবিউল ইসলাম মোল্যা এবং রাজস্ব কর্মকর্তা (সাবটিম-১২ ও অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রশাসন শাখা) নাছির উদ্দিন মাহমুদ খান। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১, ১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় অভিযোগ করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রাম কাস্টমস আমদানি পণ্য খালাস করার ক্ষেত্রে কাস্টমস কর্তকর্তাদের যোগসাজশে আমদানিকারক ও সিএন্ডএফ মালিক মিলে জাল কাগজপত্র দিয়ে পণ্য খালাস করে সরকারি ২৪ লাখ ৩৩ হাজার ৫০২ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন।