কাস্টমস কমিশনারের সাথে বিজিএপিএমইএ নেতৃবৃন্দের মতবিনিময়

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ৫ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৫:১০ পূর্বাহ্ণ

গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং সেক্টরে বন্ডের আওতায় আমদানিকৃত স্টার্চ খালাসের ডুপ্লেক্স বোর্ডের জিএসএম সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনারের সাথে মতবিনিময় করেছেন বাংলদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (বিজিএপিএমইএ) নেতারা। গতকাল বুধবার সকাল ১১ টায় বিজিএপিএমইএ’র নেতারা কাস্টমস কমিশনার মো. ফাইজুর রহমানের কাছে বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন।

মতবিনিময় সভায় ব্যবসায়ীরা বলেন, পোশাক শিল্পের ৬২টিরও অধিক পণ্য উৎপাদনের কাঁচামাল বন্ডের আওতায় আমদানি করে থাকে। কোনো কাঁচামালের কী এইচএস কোড হবে এবং বছরে কী পরিমাণ কাঁচামাল আমদানি করতে পারবে তা কাস্টমস বন্ড কমিশনার নির্ধারণ করে বন্ড লাইেেসন্স লিপিবদ্ধ করে দেন। বন্ডের আওতায় আমদানিকৃত কাঁচামাল বন্দর হতে খালাস হওয়ার পর আমদানিকারকের বন্ডেড ওয়্যারহাউসে ইন টু বন্ড হয়, যা কাস্টমস্‌ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পরিদর্শন ও পরীক্ষণপূর্বক রেজিস্টারে লিপিবদ্ধকরণ নিশ্চিত করা হয়। কাঁচামালের নাম দেশভেদে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।

এ কারণে কাস্টমস কমিশনারগণ বন্ড লাইসেন্সে একটি কাঁচামালের নামের বিপরীতে একাধিক এইচএস কোড লিপিবদ্ধ করে থাকেন। এ সেক্টরের প্রতিষ্ঠানসমূহ গ্লু তৈরির জন্য স্টার্চ আমদানি করে থাকে। স্টার্চ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ট্যারিফ সিডিউলে ১১.০৮ হেডের এবং ৩৫.০১ হতে ৩৫.০৭ হেডের আওতাভূক্ত। কাস্টমস্‌ কর্তৃপক্ষ বন্ড লাইসেন্সে স্টার্চের বিপরীতে ১১.০৮ হেডের সাথে ৩৫.০১ হতে ৩৫.০৭ একাধিক এইচএস কোড উল্লেখ করে থাকেন। বন্ডেড ব্যবস্থার শুরু থেকে এভাবেই এইচএস কোড লিপিবদ্ধ হিসেবে স্টার্চ আমদানি করা হলেও খালাস পর্যায়ে কোনো সমস্যা ছিল না। সম্প্রতি আমদানিকৃত স্টার্চকে ফুড গ্রেড হিসেবে কাস্টমস্‌ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক দাবি করে খালাসে শুল্কায়নের জন্য প্রস্তাব করায়, বন্ডারগণ ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।

এছাড়া বিজিএপিএমইএ’র সদস্য প্রতিষ্ঠানসমূহ এনবিআর কর্তৃক বোর্ড, লাইনার পেপার, মিডিয়াম পেপারের ক্ষেত্রে আবহাওয়াগত কারণে কাগজের জিএসএম ৫ থেকে ৭ শতাংশ হ্রাস বৃদ্ধি অনুমোদিত থাকলেও আমদানিকৃত ওই সমস্ত পণ্য খালাসে বিধানটি বিবেচনা করা হচ্ছে না। ফলে আমদানিকারকরা ওই সকল কাঁচামাল খালাসে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার ব্যবসায়ীদের সকল সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। এছাড়া বিষয়গুলো চিঠির মাধ্যমে জানানোর পরামর্শ প্রদান করেন।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজিএপিএমইএ’র সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন মতি, প্রথম সহসভাপতি মোহাম্মদ বেলাল, দ্বিতীয় সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম মোস্তফা সেলিম, চট্টগ্রাম কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার মো. মুশফিকুর রহমান প্রমুখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রফেসর তপনজ্যোতি বড়ুয়ার শোকসভা কাল
পরবর্তী নিবন্ধআজ ফতেয়াবাদে সুন্নি কনফারেন্স শুরু