কাস্টমস উপ-কমিশনারের বিরুদ্ধে বিডারদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ

কাস্টমস কমিশনারকে চিঠি, গণস্বাক্ষর

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ১৫ অক্টোবর, ২০২২ at ৮:০১ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম শাখার উপ-কমিশনার (ডিসি) সন্তোষ সরেনের বিরুদ্ধে অসৌজন্যমূলক আচরণসহ নানা অভিযোগ এনে গণস্বাক্ষর ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে কাস্টমস নিলাম ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি। সেই সাথে কাস্টমসের নিলাম শাখায় গত বৃহস্পতিবার চলতি টেন্ডার সেল-৪১/২০২২ বয়কট করেছেন সমিতি সদস্যরা। দুপুর ১২টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত আয়োজিত অনুষ্ঠানে শতাধিক বিডার (নিলামে অংশগ্রহণকারী) গণস্বাক্ষর করেন। এর আগে গত মঙ্গলবার ডিসি সন্তোষ সরেনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার ফাইজুর রহমান বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন বিডাররা।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, আমরা বিডাররা দীর্ঘ ৩০-৩৫ বছর ধরে কাস্টমসের নিলামে অংশগ্রহণ করে আসছি। কাস্টমস কর্তৃপক্ষের যাবতীয় শর্ত প্রতিপালন করে সরকারকে রাজস্ব দিয়ে পণ্য খালাস করে থাকি। সাম্প্রতিক সময়ে নিলাম শাখার বর্তমান ডিসি বিডারদের অসৌজন্যমূলক আচরণের কারণে আমরা অত্যন্ত হতাশ ও ক্ষুব্ধ। যেমন, গত টেন্ডার সেল-৪০/২০২২ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২৯ সেপ্টেম্বর। কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মতে-নিলাম অনুষ্ঠানের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সর্বোচ্চ দরপত্র প্রকাশের নিয়ম রয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো-টেন্ডার সেল-৪০/২০২২ দরপত্রের সর্বোচ্চ দরদাতাদের তালিকা গত ১০ অক্টোবর প্রকাশ করা হলেও তালিকায় কেন ৪ অক্টোবর তারিখে স্বাক্ষর করেছেন তা আমাদের বোধগম্য নয়। শুধু তাই নয়, প্লাস্টিক স্ক্র্যাপ প্রকাশ্য/সী টেন্ডারের মাধ্যমে টেন্ডার না অর্থের বিনিময়ে ১০-১২ জন বিডারের নামমাত্র মূল্যে প্লাস্টিক স্ক্র্যাপ বিক্রির পাঁয়তারা করছেন ডিসি মহোদয়। বিডাররা সরকারি রাজস্ব বৃদ্ধির স্বার্থে বিষয়টিতে প্রতিবাদ করলে ডিসি সন্তোষ বিডারদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। চট্টগ্রাম কাস্টমসের সদ্য সাবেক কমিশনার ফখরুল আলম নিলাম ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির কার্যকরী সদস্যদের সাথে একাধিকবার সৌজন্য বৈঠকের মাধ্যমে নিলাম শাখার সমস্যাসমূহ চিহ্নিত করে সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এ ছাড়া নিলাম শাখার ডিসিকে প্রতি মাসে একবার, নিলাম শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম কমিশনার মহোদয়কে প্রতি দুই মাসে একবার সমিতির সাথে বৈঠক করে বিডারদের মতামত নেয়ার জন্য মৌখিক নির্দেশনা দেন। কিন্তু সেটি আর কার্যকর হচ্ছে না। এ ছাড়া প্রতি মাসে নিলামে কমপক্ষে ২০-৩০ লট নতুন পণ্য রাখার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তী টেন্ডার সেলে নতুন পণ্যের লট না দেখে আমরা হতবাক হই।
গণস্বাক্ষর ও প্রতিবাদ কর্মসূচির বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমস নিলাম ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব চৌধুরী দৈনিক আজাদীকে বলেন, ডিসি সন্তোষ সরেন দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে আমাদের বিডারদের সাথে খারাপ ব্যবহার করছেন। ওনার
স্বেচ্ছাচারী ভূমিকার কারণে বিডাররা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এর প্রতিবাদে গণস্বাক্ষর ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছি। একই সাথে আমরা আমরা চলতি টেন্ডার সেল-৪১/২০২২ বয়কট করেছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ১০ বছরের জন্য নিজেকে বিক্রির ঘোষণা
পরবর্তী নিবন্ধ৬ বছর পর মৃত্যুদণ্ডের আসামি গ্রেপ্তার