চীন থেকে ব্লিচড ফেব্রিক্স ঘোষণায় দুই কন্টেনারে প্রায় ৪০ টন পর্দা ও সোফার কাপড় নিয়ে আসে পাবনার ঈশ্বরদী ইপিজেডের রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠান নাকানো ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি লিমিটেড। মিথ্যা ঘোষণায় এসব পণ্য আমদানির মাধ্যমে আমদানিকারক ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা করেছেন বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কাস্টমসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার কর্মকর্তারা। গতকাল কন্টেনার দুটির শতভাগ কায়িক পরীক্ষায় এই জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে।
কাস্টমস এআইআর শাখা সূত্রে জানা গেছে, চীন থেকে মিথ্যা ঘোষণায় আসা দুটি কন্টেনারের মধ্যে একটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায় দেড় মাস আগে এবং অপর কনটেইনারের ২০ দিন আগে। কিন্তু কন্টেনারে পণ্য খালাসের জন্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান কোনো উদ্যোগ না নেয়ায় এইআইআর শাখার টিম ঘোষণা বহির্ভূত পণ্য আছে এমন সংবাদ ভিত্তিতে অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে কন্টেনার দুটির বিএল ব্লক করে রাখে। পরবর্তীতে পণ্য পরীক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমদানিকারকের প্রতিনিধিকে মৌখিকভাবে অনুরোধ করে এআইআর টিম। তখন তারা জানায়, কন্টেনার দুটি তাদের প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আমদানিকৃত নয় এবং কেউ তাদের প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে চালান দুইটি আমদানি করেছে। এরপর কাস্টম কমিশনারের নির্দেশে কন্টেনার দুইটি ফোর্স কিপডাউন করে কায়িক পরীক্ষার উদ্যোগ নেন এআইআর শাখার কর্মকর্তারা।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমসের সহকারী কমিশনার (এআইআর শাখা) মো. রেজাউল করিম জানান, দেশি পোশাক শিল্পের প্রসারের লক্ষ্যে ইপিজেডের প্রতিষ্ঠানগুলোকে আমদানি ঋণপত্র (এলসি) ছাড়াই আইপির মাধ্যমে কাঁচামাল আমদানির সুযোগ দিয়েছে সরকার। শিল্পের কাঁচামালের ক্ষেত্রে তড়িৎ খালাসের আওতায় পণ্যচালানগুলো ছাড় দেওয়া হয়। এ চালানে সুযোগের অপব্যবহার করে মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে অভিনব পন্থায় শুল্ক ফাঁকির অপচেষ্টা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আমদানিকারক মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য এনে প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা শুল্কফাঁকির চেষ্টা করেছেন।












