চট্টগ্রাম কাস্টমসে সার্ভার সিস্টেম মাইগ্রেশনের জেরে পণ্যের শুল্কায়নে আবারও দুর্ভোগের অভিযোগের উঠেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, টানা পাঁচদিন ধরে সার্ভারের কারণে বিল অব এন্ট্রি ও শুল্ক পরিশোধে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। বিষয়টি একাধিকবার চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নজরে আনলেও এর কোনো সমাধান মিলছে না। যে কাজ ৫ মিনিটে হওয়ার কথা সেটি আজ (গতকাল) ৫০ মিনিটেও করা সম্ভব হয়নি। ফলে বন্দর থেকে পণ্য খালাস করতেও সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে আমদানি-রপ্তানি সংশ্লিষ্টদের।
চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যকে গতিশীল করার লক্ষ্যে ১৯৯৫ সালে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে অটোমেশনের যাত্রা শুরু হয়। এক সময় অ্যাসাইকুডা প্লাস প্লাস ভার্সন থাকলেও গত ২০১৩ সাল থেকে কাস্টমসে অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড পদ্ধতি চালু হয়। এই পদ্ধতিতে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমের প্রায় সবকিছুই অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হচ্ছে। কিন্তু মাঝে মাঝে সার্ভারের গতি কমে যাওয়া কিংবা বিকল হয়ে যাওয়ার ফলে আমদানিকারকদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। চট্টগ্রাম কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী রিগ্যান আজাদীকে বলেন, সার্ভারের সমস্যা নিয়ে নতুন করে আমাদের কিছু বলার নেই। সার্ভারের ত্রুটির বিষয়টি বারবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্তাব্যক্তিদের নজরে তুলেও সুফল পাচ্ছি না। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।
চট্টগ্রাম কাস্টমস সিএন্ডএফ এজেন্টস কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন আজাদীকে বলেন, সার্ভারের ত্রুটির কারণে গত ৫ দিন ধরে আমাদেরকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে কাজ হচ্ছে না। এতে আমাদের প্রচুর কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপ-কমিশনার (প্রিভেন্টিভ) সালাহউদ্দিন রিজভী আজাদীকে বলেন, সকাল ও দুপুরের দিকে সার্ভার কিছুটা স্লো ছিল। বিকেলের দিকে আবার স্বাভাবিক হয়ে আসে।