কাস্টমসে নিলামে উঠছে আরো ৭১ লট পণ্য

দরপত্র খোলা হবে কাল

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ৩০ ডিসেম্বর, ২০২০ at ৮:৪৪ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে গার্মেন্টেসের ফেব্রিক্সসহ ৭১ লট পণ্যের নিলাম উঠছে আগামীকাল বৃহস্পতিবার। এটি ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় নিলাম। এর আগে গত ২১ ডিসেম্বর গাড়িসহ ৮২ লট পণ্য নিলামে তোলা হয়। এদিকে আগামীকাল বেলা আড়াইটায় কাস্টম হাউসের নিলাম শাখায় বিডারদের (নিলামে অংশগ্রহণকারী) উপস্থিতিতে দরপত্রের বাক্স খোলা হবে।
নিলাম শাখা সূত্রে জানা গেছে, ৭১ লট পণ্যের মধ্যে রয়েছে- গার্মেন্টস ফেব্রিক্স, স্ক্র্যাপ, ফার্নিচার, চেয়ার, ফুটওয়্যার, খালি গ্যাস সিলিন্ডার, ক্যালেন্ডার-ডায়রি, ডিসপোসেবল রেইনকোট, অ্যাকসোসরিজ, প্যাট ফিল্ম নন প্রিন্টেড, অ্যালকোহল, প্লাস্টিক হ্যাংগার অ্যান্ড সাইজ ক্লিপস, সোয়েটার, কার্টন বোর্ড, জ্যাকেট, কেমিক্যাল, সিকিউরিটি ট্যাগ, স্টোন, টাইলস, ক্যাপিটাল মেশিনারি, গ্লাস বিডস, টাইলস, মাস্ক, বেবি লোশন, টি-শার্ট, এলইডি লাইট, টুথ ব্রাশ, সোডা, ফেস ওয়াশ ও প্রিন্টারসহ ইলেকট্রনিক্সের বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নিলাম শাখার উপ-কমিশনার ফয়সাল বিন রহমান জানান, নিলামের মাধ্যমে বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা জব্দকৃত ও অখালাসকৃত পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। এখন টানা নিলাম অনুষ্ঠিত হচ্ছে। করোনাকালেও আমরা সেই নিলামের স্বাভাবিক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। বর্তমানে মাসে একাধিক নিলামও সম্পন্ন করা হচ্ছে।
নিলাম শাখার কর্মকর্তারা জানান, আগামীকাল দুপুর আড়াইটার দিকে বিডারদের উপস্থিতিতে দরপত্রের বাক্স খোলা হবে। বিডাররা দুপুর ২টার মধ্যে দরপত্র জমা দিতে পারবেন। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং শুল্ক আবগারি ও ভ্যাট কমিশনারেটের (ঢাকা দক্ষিণ) অফিসে একটি করে বাক্স রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আমদানীকৃত পণ্য জাহাজ থেকে বন্দর ইয়ার্ডে নামার ৩০ দিনের মধ্যে সরবরাহ নিতে হয়। এই সময়ের মধ্যে কোনো আমদানিকারক পণ্য সরবরাহ না নিলে তাকে নোটিশ দেয় কাস্টমস। নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে এই পণ্য সরবরাহ না নিলে তা নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এছাড়া মিথ্যা ঘোষণায় জব্দ পণ্যও নিলামে তোলা যায়। সর্বমোট ৪৫ দিনের মধ্যে নিলামে তোলার এই নিয়ম দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর করতে পারেনি বন্দর ও কাস্টমস। এতে করে বন্দরের ইয়ার্ডে এসব কন্টেনার পড়ে থাকে। আমদানি পণ্য যথাসময়ে খালাস না নেয়ায় বন্দরগুলোতে প্রায়ই কন্টেনার জট লাগে। দিনের পর দিন কন্টেনার পড়ে থাকলেও বন্দর কর্তৃপক্ষও চার্জ পায় না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে শনাক্ত ৩০ হাজার ছাড়ালো
পরবর্তী নিবন্ধগতি পাচ্ছে বে টার্মিনাল