কাস্টমস অফিসে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দিয়ে ১৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা আত্মসাৎকারী আতিকুর রহমান চৌধুরী ওরফে আনিছুর রহমান (৩৮)কে ফেনী জেলার পরশুরাম থেকে গ্রেফতার করেছে চট্টগ্রাম নগরের ডবলমুরিং থানা পুলিশ।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে ডবলমুরিং মডেল থানার ওসি ফজলুল কাদের পাটোয়ারী দৈনিক আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এরআগে গত ২২ জানুয়ারি ফেনী জেলার পরশুরাম থানাধীন দক্ষিণ গুথুমা থেকে পরশুরাম থানা পুলিশের সহায়তায় প্রতারক আতিকুর রহমান চৌধুরীকে গ্রেফতার করে চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানা পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে আত্মসাৎকৃত ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আতিকুর রহমান ফেনী জেলার পরশুরাম থানা এলাকার ৪ নাম্বর বক্স মাহমুদ ইউনিয়নের ৫ নাম্বার ওয়ার্ডের দক্ষিণ গুথুমার ছেলামত আলী চৌধুরী বাড়ীর মোস্তফা চৌধুরীর ছেলে।
ডবলমুরিং থানা পুলিশ জানায়, চুয়াডাঙ্গার আকাশ আলীর চাচা শামছুদ্দিনেন সাথে আতিকুর রহমান চৌধুরীর পরিচয় হয় চুয়াডাঙ্গায়। আতিকুর রহমান তার নিজের নাম আনিছুর রহমান বলে জানায়। শামছুদ্দিনের সাথে পরিচয়ের একপর্যায়ে আতিকুর রহমান চৌধুরী ওরপে আনিছুর রহমান চট্টগ্রাম কাস্টমস অফিসে ডেসপাস রাইটার হিসেবে লোক নিয়োগ দিতে পারবে বলে শামছুদ্দিনকে জানায়।
শামছুদ্দিন তার ভাতিজা আকাশ আলীকে চাকুরী দেয়ার জন্য বললে আনিছুর রহমান ১৫ লক্ষ টাকায় চাকরি দিতে পারবে বলে জানায়। আনিছুর রহমানের কথায় শামছুদ্দিন ভাতিজা আকাশ আলীর চাকরির জন্য আশ্বস্ত হয়ে ১৫ লক্ষ টাকা দিতে রাজী হয়।
ডবলমুরিং মডেল থানার ওসি ফজলুল কাদের পাটোয়ারী দৈনিক আজাদীকে বলেন, আকাশ আলী গত বছরের ডিসেম্বরের ১৪ তারিখ চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী থানাধীন অলংকার মোড়স্থ একটি হোটেলে আসলে আতিকুর রহমান চৌধুরী আকাশ আলী থেকে চাকরির প্রসেসিং ফি বাবদ ১৫ হাজার টাকা নেয়।
পরবর্তীতে জয়েনিং লেটার এর কথা বলে বিকাশ নাম্বারে ২০ হাজার, পরের ধাপে এসএ পরিবহনের মাধ্যমে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা নেয়।
এরপর নগদ একাউন্টের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে ২৫ হাজার ও ৫৫ হাজার টাকা গ্রহণ করে। সর্বশেষ চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারী চট্টগ্রামের অলংকার মোড়স্থ এশিয়ান হোটেলে চাকুরীর জয়েনিং লেটার দেখিয়ে বাকি ১২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা নেয় আতিকুর। পরে টাকা গুলো নিয়ে আত্মগোপনে চলে যায় সে।
এ ঘটনায় ডবলমুরিং থানা মামলা দায়েরের পর মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরির্দশক (এসআই) ইমান হোসেন সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে। ফুটেজসহ প্রাপ্ত অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে কথিত আনিছুর রহমানের পূর্ণ পরিচয় সনাক্ত করে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সে মূলত প্রতারনার কৌশল হিসেবে একেক সময় সে একেক নাম ব্যবহার করে। তার ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে একাধিক অটো সীল, গোল সীল, আনিছুর রহমান নামীয় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃক ইস্যুকৃত ১টি আইডি কার্ড, চাকুরীর আবেদন ফর্ম ও মোবাইল ফোন সহ বিভিন্ন কাগজ-পত্র জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।