মিলে নবীন–পুরনো অংশীজন, কাস্টমস করবে লক্ষ্য অর্জন–এই প্রতিপাদ্যে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস–২০২৪। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল দুপুরে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের মিলনায়তনে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (মূসকঃ বাস্তবায়ন ও আইটি) ড. মইনুল খান।
তিনি বলেন, ব্যবসা বাণিজ্য সহজ করতে হবে, ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের মাধ্যমে পাচারকারীরা যেন কোনো সুযোগ না পায়। সবার প্রচেষ্টায় কাস্টমস হাউসকে এগিয়ে নিতে হবে। মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ করতে হবে। মানিলন্ডারিং না ঘটে সেভাবে কাজ করতে হবে। মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি–রপ্তানির বিষয়ে কাস্টমস কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকতে হবে। একটি গবেষণা বলেছে–৭০ শতাংশ টাকা বিদেশে চলে যায় মানি লন্ডারিংয়ে। তিনি আরো বলেন, টিআরএসের ফলাফলে কাস্টমস অংশে সময়ক্ষেপণ কম। অন্য সংস্থার বেশি। এখানে ৮ হাজার ডকুমেন্টেশন হয়। সে তুলনায় জনবল ও অবকাঠামো কম। এনবিআর এ বিষয়ে উদ্যোগ নেবে। এছাড়া কাস্টমসের সঙ্গে ভ্যাট ও করের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। পণ্য উৎপাদন যথাযথ হলে আয়কর ও ভ্যাট আদায় বাড়বে।
কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিল কমিশনারেটের কমিশনার মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, পৃথিবীর পরিবর্তন হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। কাস্টমস দিবসে আমরা দেশপ্রেমের শপথ নিয়ে থাকি। আমাদের চেষ্টা থাকবে সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া। আমরা অর্থনৈতিক উন্নয়নে অনেক দূর এগিয়ে যেতে চাই। এ যাত্রা হবে সম্মিলিত–সমন্বিত।
কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার সৈয়দ মুসফিকুর রহমান বলেন, বাণিজ্য সহজীকরণ, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, রপ্তানি উন্নয়ন, জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা, চোরাচালান রোধ, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ঝুঁকি প্রতিরোধ, দেশি শিল্পের বিকাশসহ কাস্টমসের অনেক দায়িত্ব। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে রাজস্ব আহরণ। দেশের ২৮ শতাংশ রাজস্ব আসে কাস্টমস থেকে। কাস্টমসের মূল ফোকাস এখন ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন। দেশে অটোমেশনে কাস্টমস পাইওনিয়ার।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. ফাইজুর রহমান।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন কর কমিশনার মো. শাহাদাৎ হোসেন শিকদার, চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক একেএম আকতার হোসেন, মেট্রোপলিটন চেম্বারের সহসভাপতি এএম মাহাবুব চৌধুরী, উইম্যান চেম্বারের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবিদা মোস্তফা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট ট্রেনিং একাডেমির মহাপরিচালক সুরেশ চন্দ্র বিশ্বাস।