কাশ্মীরে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নিহত ৩

| মঙ্গলবার , ২২ জুন, ২০২১ at ১০:৫০ পূর্বাহ্ণ

কাশ্মীর উপত্যকায় পুলিশের জঙ্গিবিরোধী অভিযানে লস্কর-ই-তাইয়েবার এক শীর্ষ কমান্ডারসহ তিন জঙ্গি নিহত হয়েছে। রোববার জম্মু-কাশ্মীরের সোপুরে এ অভিযান চালায় পুলিশ। কাশ্মীর জোন পুলিশ বলছে, লস্কর-ই-তাইয়েবার নিহত শীর্ষ নেতার নাম মুদাসসির পণ্ডিত। উপত্যকায় বেশ কয়েকটি জঙ্গি হামলার পেছনে তার ভূমিকা ছিল। ফলে আগে থেকেই পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় ছিল মুদাসসির।
পুলিশ বলছে, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রোববার রাত থেকে সোপুর অঞ্চলটি ঘিরে রাখা হয়। পুলিশের কাছে তথ্য ছিল স্থানটিতে মুদাসসির পণ্ডিত ও তার তিন সহকারী আশ্রয় নিয়েছে। পরে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। জঙ্গিরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা চালালে পুলিশের পাল্টা গুলিতে নিহত হয় মুদাসসির পণ্ডিতসহ তার দুই সহযোগী। এক টুইট বার্তায় কাশ্মীর জোন পুলিশ জানায়, স্থানীয় তিন পুলিশ কর্মকর্তা, দুই কাউন্সিলর ও দুই জন সাধারণ নাগরিক হত্যায় জড়িত ছিল মুদাসসির পণ্ডিত। গত ১২ জুন কাশ্মীর উপত্যকায় পুলিশ ও স্থানীয়দের মধ্যকার সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছিল। নিহতদের মধ্যে ছিল দুজন পুলিশ ও দুজন সাধারণ মানুষ। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও তিন পুলিশ সদস্য।
পুলিশ বলছে, স্থানীয় বরামুলার সোপুর এলাকায় নিয়মিত টহল দিচ্ছিল পুলিশ ও সিআরপির একটি যৌথ বাহিনী। এসময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে একদল সন্ত্রাসী। পরে পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে হতাহতের ঘটনাটি ঘটে। কাশ্মীর পুলিশের মহাপরিচালক দিলবাগ সিংহ বলেছিলেন, নিহত দুই পুলিশ সদস্যের নাম ওয়াসিম আহমেদ ও শওকত আহমেদ। তারা পুলিশের কনস্টেবল ছিলেন। এ হামলায় লস্কর-ই-তাইয়েবার হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন দিলবাগ। বিরোধপূর্ণ অঞ্চলটিতে এখন পর্যন্ত ১ লাখেরও বেশি কাশ্মীরি নিহত হয়েছে। ২০১৯ সালের আগস্টে ভারত জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে। ফলে কাশ্মীর এতদিন যে বিশেষ অধিকার পেত তা এর মাধ্যমে খারিজ হয়ে যায়। একই সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যটিকে ভেঙে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়। এর একটি হলো লাদাখ এবং অপরটি জম্মু-কাশ্মীর। অঞ্চলটির সার্বিক উন্নয়নের জন্যই ভারত এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানায় নরেন্দ্র মোদির বিজেপি সরকার।

পূর্ববর্তী নিবন্ধযুক্তরাজ্যে আরো ৯ হাজার ২৮৪ জন করোনায় আক্রান্ত
পরবর্তী নিবন্ধযে শহরের বাসিন্দা মাত্র দুজন