কাল পবিত্র ঈদুল আজহা

ত্যাগের মহিমা সমতা ও ভ্রাতৃত্বের দৃষ্টান্ত

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ১৬ জুন, ২০২৪ at ৯:২৬ পূর্বাহ্ণ

এগুলোর (কোরবানির পশুর) গোশত ও রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না, কিন্তু তোমাদের তাকওয়া পৌঁছে যায়’। (সুরা হজ্জ)। আগামীকাল ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব ঈদুল আজহা। ‘আজহা’ অর্থ কোরবানি বা উৎসর্গ করা। এদিন চট্টগ্রামসহ সারা দেশের সামার্থ্যবান মুসলমানরা পরম করুণাময়ের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ ও সন্তুষ্টি অর্জনে পশু কোরবানি দেবেন। অবশ্য চন্দ্র মাসের ১০, ১১ ও ১২ জিলহজ্বের যেকোনো একদিন কোরবানি করা যায়। তবে সারা বিশ্বে ১০ জিলহজ্ব পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হয় ঈদুল আজহা। পশু কোরবানির আগে ঈদের নামাজে ধনীগরিব সবাই এক কাতারে শামিল হয়ে মহান সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্য কামনা করবেন।

ইসলামে কোরবানি করা পশুর তিন ভাগের এক ভাগ নিজের জন্য রেখে আরেক ভাগ গরিবমিসকিন ও এক ভাগ আত্মীয়স্বজনের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়ার বিধান আছে। এ নির্দেশনা মেনে কোরবানিদাতারা দরিদ্র ও কোরবানি করতে অক্ষম লোকদের মাঝে জবাইকৃত পশুর মাংস বিলি করে সৃষ্টি করবেন সমতা ও ভ্রাতৃত্বের অনন্য দৃষ্টান্ত। কোরবানির সঙ্গে জড়িয়ে আছে ত্যাগের মহিমা। কারণ মহান আল্লাহ্‌ পাকের সন্তুষ্টি লাভের জন্য হজরত ইবরাহিম (.) নিজ পুত্র হজরত ইসমাইলকে (.) কোরবানি করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ্‌ রাব্বুল আ’লামিনের অপার কুদরতে হযরত ইসমাইল (.)-এর পরিবর্তে একটি দুম্বা কোরবানি হয়ে যায়। হজরত ইবরাহিম (.)-এর ত্যাগের মহিমার কথা স্মরণ করে বিশ্বব্যাপী মুসলিম সম্প্রদায় আল্লাহ পাকের অনুগ্রহ লাভের আশায় পশু কোরবানি করে থাকেন। প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য পশু কোরবানি করা ওয়াজিব। আল কোরআনের সুরা কাউসারে বলা হয়েছে, অতএব, তোমার পালনকর্তার উদ্দেশ্যে নামাজ পড় এবং কোরবানি করো।

এদিকে ৯ জিলহজ ফজরের নামাজের পর থেকে ১৩ জিলহজ আসর পর্যন্ত প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর তাকবিরে তালবিয়াহ পাঠ করা ওয়াজিব। তালবিয়াহ হলো, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লাইলাহা ইল্লাল্লাহি আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়ালিল্লাহিল হামদ।

ঈদ জামাত : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে ঈদের প্রথম ও প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৭টায় এবং দ্বিতীয় জামাত সকাল সোয়া ৮টায় জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে ৯টি মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। মসজিদগুলো হলো লালদিঘি সিটি কর্পোরেশন শাহী জামে মসজিদ, হযরত শেখ ফরিদ (.) চশমা ঈদগাহ মসজিদ, সুগন্ধা আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, চকবাজার সিটি কর্পোরেশন জামে মসজিদ, জহুর হকার্স মার্কেট জামে মসজিদ, দক্ষিণ খুলশী (ভিআইপি) আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, আরেফীন নগর কেন্দ্রীয় কবরস্থান জামে মসজিদ, সাগরিকা গরুরবাজার জামে মসজিদ এবং মা আয়েশা সিদ্দিকী চসিক জামে মসজিদ (সাগরিকা জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়াম সংলগ্ন) এছাড়া নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণের তত্ত্বাবধানে একটি করে প্রধান ঈদ জামাত স্ব স্ব মসজিদ বা ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে কুতুবুল আকতাব হজরত শাহসুফি আমানত খান (রহ.) দরগাহ শরিফ মসজিদে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আওলাদে পাক শাহজাদা সৈয়দ মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ খান মারুফ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধলাব্বাইক ধ্বনিতে মুখর আরাফাত ময়দান
পরবর্তী নিবন্ধঅনিশ্চয়তার মাঝে হালদায় ডিম সংগ্রহের আশা