চট্টগ্রাম কাস্টমসে আগামীকাল নিলামে উঠছে ২১২ লট পণ্য। এরমধ্যে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কয়েকটি গাড়ি, ইস্পাত পণ্য, পেঁয়াজ, রসূন, ক্যামিকেল, সিরামিক, প্লাস্টিক ও ফেব্রিক্স অন্যতম। করোনাকালে এটি পাঁচ নম্বর নিলাম বলে জানিয়েছেন নিলাম শাখার কর্মকর্তারা। আগামীকাল নিলামের দরপত্র জমা দেয়া যাবে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তার (প্রশাসন) দপ্তরে, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের দপ্তরে ও ঢাকার কাকরাইলে অবস্থিত শুল্ক আবগারী ও ভ্যাট কমিশনারেটের যুগ্ম-কমিশনারের (সদর) দপ্তরে।
সরকারি নিলাম পরিচালনাকারী মেসার্স কে এম কর্পোরেশনের কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোরশেদ জানান, মঙ্গলবার (আজ) অফিস চলাকালীন সময় পর্যন্ত নগরীর মাঝিরঘাট মেসার্স কে এম কর্পোরেশন অফিস থেকে নির্ধারিত মূল্য পরিশোধ করে ক্যাটালগ ও দরপত্র সংগ্রহ করা যাবে। ক্যাটালগ ও দরপত্র নিলামের দিন দুপুর দুইটার মধ্যে জমা দেয়া যাবে। দুপুর আড়াইটায় চট্টগ্রাম ও ঢাকায় একযোগে নিলাম কার্যক্রম শুরু হবে। চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার (নিলাম শাখা) ফয়সাল বিন বলেন, বন্দর কাস্টমসের গতিশীলতা বাড়াতে নিয়মিত নিলাম কার্যক্রম চলমান রয়েছে। করোনাকালের এটি পঞ্চম নিলাম। এবারের নিলামে ২১২ লট পণ্য উঠানো হচ্ছে। নিয়মিত নিলামে অংশগ্রহণকারী ব্যবসায়ী মো. ফজলুল আমিন জানান, করোনার মধ্যে ব্যবসা বাণিজ্য স্থবির ছিল। অনেকে নিলামে অংশ নেননি। তবে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি পাল্টে যাচ্ছে। এখন অনেক ব্যবসায়ী স্বপ্রণোদিত হয়ে নিলামে অংশ নিচ্ছেন। আমি নিজেও এবার অংশ নিচ্ছি। উল্লেখ্য, আমদানিকৃত পণ্য জাহাজ থেকে বন্দর ইয়ার্ডে নামার ৩০ দিনের মধ্যে সরবরাহ নিতে হয়। এই সময়ের মধ্যে কোনো আমদানিকারক পণ্য সরবরাহ না নিলে তাকে নোটিশ দেয় কাস্টমস। নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে এই পণ্য সরবরাহ না নিলে তা নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এছাড়া মিথ্যা ঘোষণায় জব্দ পণ্যও নিলামে তোলা যায়। সর্বমোট ৪৫ দিনের মধ্যে নিলামে তোলার এই নিয়ম দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর করতে পারেনি বন্দর ও কাস্টমস। এতে করে বন্দরের ইয়ার্ডে এসব কন্টেনার পড়ে থাকে। আমদানি পণ্য যথাসময়ে খালাস না নেয়ায় বন্দরগুলোতে প্রায়ই কন্টেনার জট লাগে।