সেই জুলাইতে কানাডায় গ্লোবাল টি–টোয়েন্টি লিগ খেলার জন্য দেশ ছেড়েছিলেন সাকিব আল হাসান। এরপর জাতীয় দলের হয়ে খেলতে যান পাকিস্তানে। এরই মধ্যে দেশে ঘটে যায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এরপর ভেঙে দেওয়া হয় সংসদ। সদস্যপদ হারান সাকিব আল হাসান। পরবর্তীতে হত্যা মামলাও হয় তার নামে। যে কারণে দেশে আর আসা হয়নি এই অলরাউন্ডারের। পাকিস্তানে বাংলাদেশের সিরিজ শেষ করে সাকিব চলে যান ইংল্যান্ডে কাউন্টি খেলতে। সেখান থেকে যোগ দেন ভারত সফরে দলের সাথে। ভারত সফর শেষে সাকিব পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। যেখানে রয়েছে তার পরিবার। এরপর আবার কাউন্টি খেলতে যান ইংল্যান্ডে। ভারতের বিপক্ষে কানপুর টেস্টে নামার আগে সংবাদ সম্মেলনে সাকিব জানিয়েছিলেন টেস্ট এবং টি–টোয়েন্টি আর খেলবেন না তিনি। টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটের শেষ ম্যাচটা তিনি বিশ্বকাপে খেলে ফেলেছেন। বাকি আছে শেষ টেস্ট ম্যাচটি। ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট ম্যাচটি তিনি মিরপুরে খেলতে চান। আর সে ম্যাচ খেলতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় আসতে পারেন সাকিব। নিজের শেষ টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামবেন তিনি। যে কারণে আগামীকাল বৃহস্পতিবার দেশে ফিরবেন এই অলরাউন্ডার। বিষয়টি বিসিবির এক সূত্র নিশ্চিত করেছে গতকাল।
সাকিবের দেশে আসা নিয়ে হয়েছিল অনেক গুঞ্জন। ছাত্র আন্দোলেন তার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর থেকে ধারণা করা হচ্ছিল আর দেশে ফিরছে না তিনি। পরে অবশ্য এক ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেন এই তারকা। এতেও অনেকের মন গলেনি। তবে সাকিবের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এদিকে খেলার আগ্রহ প্রকাশ করেন সাকিবও। তবে শর্ত ছিল তাকে যেন দেশ ত্যাগের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়। যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানান, সাকিবের দেশে ফিরতে বাঁধা দেখছেন না তিনি। বর্তমান সরকারের একজন প্রতিনিধির কাছ থেকে এমন সবুজ সংকেত পেয়ে এবার দেশে ফেরার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন সাকিব। আগামীকাল বৃহস্পতিবার তিনি দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে। এছাড়া শুক্রবার সাকিবের দলীয় অনুশীলনে যোগ দেওয়ার কথা আছে।