কাল আজ কাল

কামরুল হাসান বাদল | বৃহস্পতিবার , ১৫ ডিসেম্বর, ২০২২ at ১০:০৯ পূর্বাহ্ণ

বিএনপির সমাবেশ
যতটা গর্জন ততটা বর্ষণ নয়

রাজধানী ঢাকায় বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ নিয়ে সর্বমহলে আগ্রহের শেষ ছিল না। আসলে আগ্রহ না বলে আতঙ্ক বলাই সমীচীন হতো কারণ, এই সমাবেশের পর দেশের পরিস্থিতি কোনদিকে যাবে? সরকার পতন হবে কিনা? হলে রাষ্ট্রের চালকের আসনে কে বসতে যাচ্ছেন? এমন নানাবিধ আলাপে চায়ের টেবিল থেকে টিভির টক শো, ঘরোয়া আলোচনা থেকে রাজনীতির মাঠ সরগরম ছিল। ঢাকার আগে দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে সমাবেশের মাধ্যমে বিএনপিনেতারা এমন ধারণা দিয়েছিলেন যে, ১০ ডিসেম্বরের পর আওয়ামী লীগ সরকার আর থাকছে না। বিএনপির কোনো কোনো নেতা বক্তৃতায় এমনও বলেছেন, ১০ ডিসেম্বরের পর দেশ চলবে খালেদা জিয়ার নির্দেশে। অনেকে আগ বাড়িয়ে বলেছেন, ১০ ডিসেম্বরেই মহাসমারোহে তারেক জিয়া দেশে ফিরবেন। শুধু বিএনপি নয়, তার সমমনা (আসলেই কি সমমনা?) দলগুলোর নেতারাও এমন ধারণা দিয়েছেন নিজ নিজ দলের কর্মী-সমর্থকদের। আ স ম আব্দুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্নারা তো চট্টগ্রামে এসে বিএনপি তাদের ৪০ থেকে ৫০টি সিট ছেড়ে দেবে এবং ভবিষ্যতের সরকারে তারা অবধারিতভাবে থাকছেন এমন আশার বাণী শুনিয়ে গেছেন তাদের কর্মী-সমর্থকদের।

১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ থেকে সরকার পতন হবে, খালেদা জিয়ার নির্দেশে দেশ চলবে, তারেক জিয়া বিনা বাধায় দেশে ফিরবেন এমন ‘হাইপ’ তৈরি করা হলেও কার্যত কিছুই অর্জন করতে পারেনি বিএনপি। পল্টনে জনসভা করার জন্য জেদ ধরা এবং শেষ পর্যন্ত করতে না পারার মধ্য দিয়েই বিএনপির প্রাথমিক পরাজয় ঘটে। শুধু তাই নয়, সরকারের পতন ঘটানোর ডাক দিলেও সে সমাবেশে তারাই সংসদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে দ্বিতীয় দফা পরাজয়ের সম্মুখীন হয়। তবে সে সমাবেশে বিএনপি ১০ দফা দাবি তুলে ধরে। সমাবেশে দাবিগুলো নতুন করে জানালেও এতদিন ধরে নেতারা একই দাবি করে আসছিলেন। নতুন কোনো দাবি ছিল না তাতে। সে দাবিগুলোও ইতিমধ্যে পাঠকরা জেনে গেছেন। তবুও লেখার সুবিধার্থে দাবিগুলো উল্লেখ করছি।

১. বর্তমান অনির্বাচিত অবৈধ জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করে ভোটবিহীন, গণতন্ত্র হরণকারী, লুটেরা ক্ষমতাসীন ফ্যাসিস্ট সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।
২. ১৯৯৬ সালে সংবিধানে সংযোজিত ধারা ৫৮-খ, গ ও ঘ’এর আলোকে দল নিরপেক্ষ একটি অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে।
৩. নির্বাচনকালীন দল নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার বর্তমান অবৈধ নির্বাচন কমিশন বাতিল করে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। ওই নির্বাচন কমিশন অবাধ নির্বাচনের অনিবার্য পূর্বশর্ত হিসাবে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আরপিও সংশোধন, ইভিএম পদ্ধতি বাতিল ও পেপার ব্যালট এর মাধ্যমে ভোটের ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার বাতিল করতে হবে।

৪. দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মী, পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনকারী সকল মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিক এবং আলেমদের সাজা বাতিল, সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও সকল রাজনৈতিক কারাবন্দিদের অনতিবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। দেশে সভা-সমাবেশ ও মত প্রকাশে কোনো বাধা সৃষ্টি না করা; সব দলকে স্বাধীনভাবে গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালনে প্রশাসন ও সরকারী দল কর্তৃক কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ বা বাধা সৃষ্টি না করা; স্বৈরাচারী কায়দায় বিরোধী কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করার লক্ষ্যে নতুন কোন মামলা ও বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার যাবে না।

৫. ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮, সন্ত্রাস দমন আইন-২০০৯ এবং বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ সহ মৌলিক মানবাধিকার হরণকারী সকল কালা-কানুন বাতিল করতে হবে
৬. বিদ্যুৎ, জ্বালানি, গ্যাস, সার ও পানিসহ জনসেবা খাতসমূহে মূল্যবৃদ্ধির গণবিরোধী সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।
৭. নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনতে হবে এবং নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারকে সিন্ডিকেটমুক্ত করতে হবে। মুদ্রাস্ফীতির আলোকে শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্যমজুরী নিশ্চিত করা, শিশুশ্রম বন্ধ করা ও কৃষি পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করিতে হবে।

৮. গত ১৫ বছরব্যাপী বিদেশে অর্থ-পাচার, ব্যাংকিং ও আর্থিক খাত, বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাত ও শেয়ার বাজারসহ রাষ্ট্রীয় সকল ক্ষেত্রে সংঘটিত দুর্নীতি চিহ্নিত করার লক্ষ্যে একটি কমিশন গঠন করতে হবে।
৯. গত ১৫ বছরে গুমের শিকার সকল নাগরিকদের উদ্ধার করতে হইবে এবং বিচারবহির্ভূত হত্যা ও রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের প্রতিটি ঘটনার আইনানুগ বিচারের ব্যবস্থা করিয়া যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করা এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘর, উপসানালয় ভাংচুর ও সম্পত্তি দখলের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে বিচারিক প্রক্রিয়ায় শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
১০. আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন ও বিচার বিভাগকে প্রাতিষ্ঠানিক শৃংখলা ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনের উপযোগী করার লক্ষ্যে সরকারি হস্তক্ষেপ পরিহার করিয়া স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে।

এবার আলোচনায় আসা যাক। এক থেকে তিন নম্বর দাবি হচ্ছে নির্বাচনকালীন সরকার তথা একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার প্রবর্তন। তবে বিএনপির দাবি অনুযায়ী দেশে যে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরে আসবে না সেটা প্রায় নিশ্চিত। কারণ ১৯৯৬ সাল ছাড়া আর কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিতর্কহীন নির্বাচন করতে পারেনি। কারো দ্বিমত থাকলে সে সময়ের পত্র-পত্রিকা বা বইপত্র ঘাটলে সঠিক তথ্য পেয়ে যাবেন।

১৯৯০ সালে স্বৈরশাসনের অবসানের পর ১৯৯১ সালের নির্বাচনের আগে দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যম, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, জরিপ ও মতামতে ধারণা হয়েছিল আওয়ামী লীগ ও তার জোট জয়লাভ করবে। বিভিন্ন জনমত জরিপ ও মাঠ পর্যায়ে এই চিত্র দেখে বেগম খালেদা জিয়া নিজেও ধরে নিয়েছিলেন নির্বাচনে তিনি পরাজয়বরণ করতে যাচ্ছেন। সে কারণে নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে এবং ফলাফল বর্জন করে নির্বাচনের পরেরদিন হরতালও আহবান করে রেখেছিলেন আগে থেকে। কিন্তু সকল জরিপ, মতামত ও ধারণাকে উল্টে দিয়ে সেদিনের নির্বাচনে বিএনপি জয়লাভ করে ভালোভাবেই। পরাজিত হয়ে শেখ হাসিনা মন্তব্য করেছিলেন নির্বাচনে সূক্ষ্ম কারচুপি হয়েছে। তাঁর এই মন্তব্যের জন্য সে সময় তিনি বেশ সমালোচিত হলেও পরে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে এসেছিল কীভাবে ১৯৯১ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে হারানো হয়েছিল। ’৯১ এর নির্বাচন হয়েছিল অন্তর্বতী সরকারের অধীনে। সে সরকারের প্রধান ছিলেন বিচারপতি সাহাবউদ্দিন আহমদ। ২০০১ সালে তত্ত্বাধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনেও রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন তিনি। এই দু নির্বাচনেই আওয়ামী লীগ পরাজয়বরণ করে।

১৯৯৪ সালের মাগুরা নির্বাচনে নজিরবিহীন কারচুপির কারণে তৎকালীন বিরোধীদল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে জনগণ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠে। আন্দোলন ও জনমতের চাপে বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রণয়নের জন্য সংবিধানে ত্রয়োদশ সংশোধনী আনে। প্রতিষ্ঠিত হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা। সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার অধীনে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করে। যদিও সে নির্বাচনে বিএনপির দলীয় রাষ্ট্রপতি আবদুর রহমান বিশ্বাস বেশ কিছু ঘটনার জন্ম দিয়েছিলেন যা তৎকালীন প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান তার সততা, দূরদর্শিতা দিয়ে প্রতিহত করেছিলেন। ২০০১ সালে ক্ষমতা বদল অর্থাৎ নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হস্তান্তর করে শান্তিপূর্ণ ও সংবিধানকে সম্মান করে। তার মানে গত ৪টি অন্তর্বর্তী ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হয়েছে মাত্র একবারই ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের মাধ্যমে। ১৯৯৬ সালে আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেছিল বিএনপি। আর ২০০৬ সালে অনেক ঘটনার জন্ম দিয়েছিল যার ফলে ১/১১ মতো ঘটনা ঘটেছিল বাংলাদেশে। তারপরে যে প্রশ্নটি আসে, এই পদ্ধতির অধীনে নির্বাচনের পরে কোনো নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে বলে কোনো পরাজিত দল স্বীকার করেনি। কাজেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার হোক বা নির্বাচনকালীন সরকারই হোক ওই পুরনো ঘটনারই পুনরাবৃত্তি ঘটবে তাতে সন্দেহ নেই।

বিএনপি চার নম্বর দাবিতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলেমদেরও মুক্তি দাবি করেছে। এখন সমস্যা হলো বিএনপির চোখে যে আলেমরা জেলে আছে আইনের চোখে তাদের কেউ কেউ যুদ্ধাপরাধী, একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের কারণে জেল খাটছে। কেউ জঙ্গিবাদী হিসেবে জেল খাটছে। কেউ খুনের মামলায় জেল খাটছে। বিএনপি যাদের আলেম বলছে তারা সর্বসম্মত আলেম নন। প্রকৃত আলেমদের কেউ বাংলাদেশের জেলে আছে তার কোনো তথ্য নেই। আলেমদের সাজা বাতিলের যে দাবি বিএনপি করছে তা মূলত যুদ্ধাপরাধী, জঙ্গিদের বাঁচানোর দাবি। এ দাবি বর্তমান সরকার মানবে কী করে? তারা আজ সাংবাদিকদের কথা বলছে বটে কিন্তু জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিতরে ঢুকে সাংবাদিক পেটানোর ইতিহাস বিএনপিরই আছে তা ভুলে গেলে চলবে না। ছয় নম্বর দাবিটি পড়ে ভাবছি, যে বিএনপি সাড়ে তিন হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদনই করতে পারেনি তারা বিদ্যুৎ বিষয়ে আর কি বলতে পারে।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে কমিশন গঠনের কথা বলেছে বিএনপি। ভালো প্রস্তাব। জনগণের দাবি এটা। তবে এই সরকারের শুধু নয়, হাওয়া ভবনের দুর্নীতিরও বিচার হওয়া বাঞ্ছনীয়।

নয় নম্বর দাবিতে বলেছে, ‘ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘর, উপসানালয় ভাংচুর ও সম্পত্তি দখলের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে বিচারিক প্রক্রিয়ায় শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’ খুব ভালো কথা। এটা অবশ্যই হওয়া উচিত। তবে এই দাবির প্রতি বিএনপি কতটা আন্তরিক তা নিয়ে সন্দেহ আছে। বিশেষ করে ২০০১ সালের নির্বাচনের পর সারাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর বিএনপি-জামায়াত জোট যে ভয়াবহ অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়েছিল তা একমাত্র একাত্তরে পাকিস্তানি জান্তার সঙ্গে তুলনা করা চলে। সে কলঙ্কজনক ঘটনার জন্য আজ পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত ক্ষমা চায়নি, দুঃখ প্রকাশ করেনি। বিএনপি সেসব ঘটনা ভুলে গেলেও পূর্ণিমারা কোনোদিন সে ক্ষত মন থেকে মুছে ফেলতে পারবে না। আবার ক্ষমতায় এলে তেমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না তার নিশ্চয়তা কোথায়?

বিএনপি রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রামের দল নয়। যদি তাই হতো তাহলে গত চৌদ্দ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার অনেক ইস্যু তৈরি করেছিল যা নিয়ে তারা তুমুল আন্দোলন গড়ে তুলতে পারত। পারেনি। ১০ ডিসেম্বরে তাদের জগাখিচুরি কর্মসূচি দেখে আবারও সে প্রত্যয় জন্মালো।

লেখাটি শেষ করব বিএনপির এক সমর্থকের সমালোচনা দিয়ে। ভদ্রলোক আমাদের পাড়াতেই থাকেন। রাজনীতি নিয়ে তাঁর বিপুল আগ্রহ। অনেক বিষয়ে আমরা একমত না হলেও কোনো এক অজ্ঞাত কারণে তিনি আমার সঙ্গে রাজনৈতিক আলাপই বেশি করতে চান। তিনি আক্ষেপ করে বললেন, ‘দেখেন ১০ তারিখের আগের রাত বিশ্বকাপের দুইটা গুরুত্বপূর্ণ খেলা। ১০ তারিখ ভারত-বাংলাদেশের ওয়ান ডে। সেইটাও গুরুত্বপূর্ণ। সরকারের সঙ্গে যখন সমঝোতা করেই মিটিংয়ের জায়গা ঠিক করতে হচ্ছে তাহলে সমাবেশ পিছিয়ে দিলে কী হতো?’ এরা কী আন্দোলন করবে? কী সরকারপতন করবে?

লেখক : কবি-সাংবাদিক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দিন এখনো প্রাসঙ্গিক
পরবর্তী নিবন্ধচিটাগাং উইম্যান চেম্বারে ডিজিটাল সেবা সংক্রান্ত মতবিনিময়