কালো পলিথিনে ঢেকে সংরক্ষিত বনাঞ্চলে পাকা ঘর নির্মাণ

লোহাগাড়া প্রতিনিধি | রবিবার , ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ at ৫:৪৯ পূর্বাহ্ণ

লোহাগাড়ার পুটিবিলায় সংরক্ষিত বনাঞ্চলের জায়গা দখল করে নির্মাণ করা হচ্ছে পাকাঘর। ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের হরিণা নতুন পাড়া এলাকায় ডলু বনবিটের আওতাধীন বনাঞ্চলে এই ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে এই পাকা ঘর নির্মাণ কাজ চলছে।

জানা যায়, বদিউল আলম নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি সংরক্ষিত বনাঞ্চলে এই ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। যার ফলে পরিবেশে ও জীববৈচিত্র্য মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এক শ্রেণির প্রভাবশালী ব্যক্তির ভোগলিপ্সা এবং বন রক্ষায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির চরম দুর্নীতি, অদক্ষতা, অব্যবস্থাপনাই বনাঞ্চল ধ্বংস হওয়ার প্রধান কারণ বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। সংরক্ষিত বনাঞ্চল রক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। গতকাল শনিবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, সংরক্ষিত বনাঞ্চলে একটি টিলার পাদদেশে পাকাঘর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে। পাশে মজুদ করে রাখা হয়েছে নির্মাণ সামগ্রী। নির্মাণ কাজ আড়াল রাখতে দেয়া হয়েছে কালো পলিথিনের ঘেরা। টিলার চূড়ায় রয়েছে অভিযুক্ত বদিউল আলমের পুরাতন মাটির ঘর।

বদিউল আলম জানান, দীর্ঘদিন যাবত আমি এখানে ঘর বেঁধে বসবাস করে আসছি। মাটির ঘর জরাজীর্ণ হয়ে যাওয়ায় পাকাঘর নির্মাণ করেছি। একটি মহল আমাদেরকে তাড়ানোর জন্য বিভিন্নভাবে পাঁয়তারা করে আসছে। খবর পেয়ে বনবিভাগের লোকজনও এসেছিলেন। তবে তাদের সঙ্গে কোনো কথাবার্তা হয়েছে কিনা তা স্পষ্ট করেননি তিনি।

লোহাগাড়ার পরিবেশকর্মী সানজিদা রহমান জানান, সংরক্ষিত বনাঞ্চলে প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট গাছ ও বনভূমি উজাড় হওয়ার কারণে বন্যপ্রাণী হুমকির মুখে পড়েছে। হারিয়ে যাচ্ছে জীববৈচিত্র্য। সংরক্ষিত বনাঞ্চলে পাকাঘর নির্মাণ কোনোভাবে কাম্য নই। এই কাজের সঙ্গে কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের পদুয়া রেঞ্জের ডলু বনবিট কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম জানান, তিনি সংরক্ষিত বনাঞ্চলে পাকাঘর নির্মাণ করার ব্যাপারে অবগত নন। খবর নিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা
পরবর্তী নিবন্ধতামিম-রিয়াদের লড়াইয়ের পরও টাইগারদের হার