১. স্বাধীনতা এক গোলাপ ফোটানো দিন
মধ্য আশিতে রুনা লায়লার একটি গান রেডিওতে শুনেছিলাম, “স্বাধীনতা এক গোলাপ ফোটানো দিন”। সত্যিকার অর্থেই আফটার লিবারেশন আমাদের মতো অনতিতরুণদের জন্য ছিলো স্বাধীনতা একটি গোলাপ ফোটানো দিন। ইন্টার বয়সে ৪৯ নম্বর ঘাট ফরহাদবেগ থেকে আমরা যখন হেঁটে যেতাম ম্যাটারনিটি হাসপাতাল। সেখানের উঠানে ছড়িয়ে থাকতো কবিতার মতো দৈনিক আজাদীর মনো টাইপের লোগোগুলো। এগুলো গলিয়ে পরে আবার ব্যবহার করা হতো। আমরা দেখতাম পুষ্প শোভিত একটি দ্বিতল বাড়ি। রাম সুন্দর বসাকের বাল্যশিক্ষার মতো অনতিতরুণের প্রশ্ন জাগতো “ওই বাড়িটি কার”? ওই বাড়িটি ছিলো আজাদীর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আবদুল খালেকের। আজাদী বিল্ডিংয়ের জানালায় আমরা বিস্ময়ে অবলোকন করতাম মনোটাইপের কম্পোজিশন। মূলত ১৯৬০ সালে মোহাম্মদ আবদুল খালেক ইঞ্জিনিয়ার আজাদী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এবং ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম দৈনিক হিসেবে তা আত্মপ্রকাশ করেছিলো। সত্যিকার অর্থেই মোহাম্মদ আবদুল খালেক ইঞ্জিনিয়ার ও আজাদী হচ্ছে স্বাধীনতার গোলাপ ফোটানো দিন। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার কেনো কোহিনূর লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠা করলেন, কেন কোহিনূর ইলেকট্রিক্যাল প্রেস প্রতিষ্ঠা করলেন এটা একটা বিস্ময়ের ব্যাপার। তিনি কোহিনূর প্রকাশ করেছেন। বই বিপণনের জন্য নয়, তিনি মানুষকে বিদ্যামুখী করবার জন্য কোহিনূর লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পরবর্তীতে সেই কোহিনূর লাইব্রেরী বিদগ্ধ জনের আড্ডায় পরিণত হয়েছে।
৫২’এর ভাষা আন্দোলনের অমর কবিতা মাহবুবুল আলম চৌধুরীর “কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি”। এই কবিতা মুদ্রণ করবার ঝুঁকি নিয়েছিলো কোহিনূর ইলেকট্রিক্যাল প্রেস। বোঝা যাচ্ছে ’৭১ এর পূর্বে নিরন্তর বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সাথে এগিয়ে যাচ্ছিলো কোহিনূর ইলেকট্রিক্যাল প্রেস।
২. আজাদীর ভূমিকা
দৈনিক আজাদী প্রকাশিত হওয়ার মাস দু’একের মধ্যেই ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দের ৩১ অক্টোবর গোর্কীয় জলোচ্ছ্বাসে বৃহত্তর চট্টগ্রাম বিধ্বস্ত করে দিয়ে যায়। ওই সময় সারাদেশে মর্ডান টেকনোলজির কারণে একমাত্র দৈনিক আজাদী ধ্বংসের মর্মস্পর্শী খবর ছেপেছিলো। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে দৈনিক আজাদীর ভূমিকা ছিলো অন্যতম। দৈনিক আজাদী তখন সংবাদ, প্রবন্ধ, সম্পাদকীয়, উপ-সম্পাদকীয় নিবন্ধে চট্টগ্রামে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার যৌক্তিকতা বলিষ্ঠভাবে তুলে ধরেছিলেন। চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়নের ব্যাপারেও দৈনিক আজাদী পূর্বাপর অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করে আসছে। ১৯৬৬ সালে আইয়ূব খান শাসন আমলের প্রতিবাদ করে চট্টগ্রাম থেকে দৈনিক আজাদী, ঢাকা থেকে দৈনিক সংবাদ পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নরের ইচ্ছার বিরুদ্ধে প্রকাশ করা হয়। ঐতিহাসিক ৬ দফা আন্দোলনে এই পত্রিকার ভূমিকা নিঃসন্দেহে গৌরবের দাবীদার। সরকারি গোয়েন্দা রিপোর্টে আজাদী সম্পর্কে বলা হয়েছিলো ্তুঅ ইবহমধষর ফধরষু ভৎড়স ঈযরঃঃধমড়হম ষবধহরহম ঃড়ধিৎফং ড়ঢ়ঢ়ড়ংরঃরড়হ.’ আগরতলায় ষড়যন্ত্র মামলা, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান ও ৭১’এর মুক্তিযুদ্ধে দৈনিক আজাদী প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তির পক্ষেই বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছে। এখানে তুলনা করা যায় আরেক লেজেন্ড সাংবাদিক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিঞা সম্পাদিত ‘দৈনিক ইত্তেফাকে’র সাথে।
৩. কোহিনূর : কোহিনূর। নোবেল লরেট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভাষ্য
মাইক্রোক্রেডিটে মোহাম্মদ আবদুল খালেক ইঞ্জিনিয়ার ভিক্ষুককেও আজাদীর হকার বানিয়েছেন। প্রিয় পাঠক, আসুন আমরা মাইক্রোডেটিটের জনক মুহাম্মদ ইউনূসের কথা শুনি। আজাদীর ৫২ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে নোবেল লরেট ড. মুহম্মদ ইউনূস অভিভাষণে বলেছিলেন “তখন হেঁটে যেতাম। হেঁটে গিয়ে যেখান দিয়ে বক্সিরহাটের দিকে যেতাম কাটা পাহাড়ের ভিতর দিয়ে- সেখানে ঢুকতেই কোহিনূর ইলেকট্রিক প্রেস। খুব কৌতূহলী হয়ে দেখতাম কোহিনূর ইলেকট্রিক প্রেস। প্রেসটা খুব ক্ষুদ্রাকৃতি। ইলেকট্রিকের সঙ্গে প্রেসের কি সম্পর্ক এটা কোনরকম বুঝতাম না। উঁকি মেরে দেখতাম মাঝে মাঝে। তখন যে চেহারার মানুষটি আজকে এখানে দেখছি। সে চেহারার মানুষটি ওখান থেকে বেরিয়ে আসতো। আদর করে কথা বার্তা জিজ্ঞাসা করতো। আমি আবার ভয় পেয়ে তাড়াতাড়ি চলে যেতাম। কথাবার্তা বেশী বলতাম না। কিছুদিন পরে একটা পত্রিকা বের হলো সেখানে। যখন হেঁটে যেতাম। উনি ডেকে একটা পত্রিকা হাতে দিলেন। নতুন বেরিয়েছে এই পত্রিকাটা- কোহিনূর পত্রিকা। খুব মনোযোগ দিয়ে পড়লাম, ভালো লাগলো। রোজ যাওয়ার সময় দেখতাম। পত্রিকা বের হচ্ছে কিনা, সাপ্তাহিক পত্রিকা কোহিনূর পত্রিকা। একদিন উনি আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি লিখবে কিনা? আমি বললাম আমি কি লিখবো? তোমার যা ইচ্ছা লিখো, কিন্তু লিখো। পরে বুঝলাম উনি আমার বাবার বন্ধু। বাবার সঙ্গে তার বন্ধুত্ব সেটাও আমি জানতাম না। কারণ দু’জনের দুই জগৎ। একজন ইঞ্জিনিয়ার সাহেব, আর একজন সামান্য ব্যবসায়ী। কিন্তু পরে দেখলাম অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব্ব আছে দুইজনের মধ্যে। তাঁরই আগ্রহে আমি লিখলাম। একটা কবিতা লিখলাম। তারপর প্রায়ই খোঁজ নিতাম আমার কবিতা পত্রিকায় ছাপা হলো কিনা? একদিন দেখলাম যে, সে কবিতা ছাপানোও হলো। আমার প্রথম একটা কবিতা ছাপা হলো। এটা প্রচণ্ড উত্তেজনা সৃষ্টি করলো। ছাপা কাগজে নিজের লেখা ছাপা! সেই ছিলো কোহিনূর ইলেকট্রিক প্রেস। সেই আবদুল খালেক ইঞ্জিনিয়ার। সেই ছিলো কোহিনূর পত্রিকা। যখন চিটাগং শহরে মাত্র বাস চলাচল শুরু হয়েছে। দুই একটা বাস চলছে। এক আনা পয়সা দিয়ে আমরা স্কুলে যেতাম। সে আমল শেষ হলো।
এবার বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করে চট্টগ্রাম কলেজে শিক্ষকতা শুরু করলাম। তখন জন্ম হয়েছে আজাদী পত্রিকার। আজাদী পত্রিকা খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ছি। যেহেতু আমি তাঁদের সবাইকে চিনি- এখন আমার সাথে সবার পরিচয় হয়ে গেছে। একদিন খালেক সাহেব বললেন, তখন সোমবার। আপনি এখানে লিখেন। তা আমি ভাবতে পারলাম না, কি লিখবো? হঠাৎ বুদ্ধি আসলো। একটা কলাম লেখার চেষ্টা করি। সেই আমার প্রথম কলাম লেখার হাতেখড়ি। একটা কলাম শুরু করলাম। তাঁর একটা নামও দিলাম ‘হিং টিং ছট’। ‘হিং টিং ছট’ কলাম কতদিন ধরে লিখছিলাম মনে নেই। ’৬৫ সনে আমি বিদেশ চলে গেলাম। বিদেশ চলে যাওয়ার আগ পর্যন্ত আমি ‘হিং টিং ছট’ লিখেগেছি। কাজেই পত্রিকার জন্মলগ্ন থেকেই কিভাবে তার সঙ্গে জড়িত হয়ে গেছি- এটা তার একটা ধারাবাহিক অভিজ্ঞতা।
৪. কালের নায়ক
ইতিহাস আর ব্যক্তি-কে যে কাকে গড়ে তোলে এ ভাবনার বিষয়। বড় একজন ব্যক্তিত্বের উত্থানের পেছনে ইতিহাসের পটভূমি কার্যকর থাকে, জনমণ্ডলী গড়ে তোলে তার জননায়কদের। আবার কোন কোন ব্যক্তিত্ব তার সৃষ্টিশীল কর্মে জনতার আবেগকে ভাষা দেন, তাদের মধ্যে স্বপ্ন সঞ্চারিত করেন এবং ইতিহাসকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে নয়া গন্তব্যের দিকে ঘুরিয়ে দেন এর বাঁকে। তাঁদের কারো প্রভাব পড়ে সরাসরি, কেউ বা উন্মিলিত হয়ে উঠেন ধীরে ধীরে। ইতিহাসের পাদপ্রদীপে তাঁরাই হয়ে উঠেন জনহিতৈষী। এই প্রেক্ষাপটেই মোহাম্মদ আবদুল খালেক ইঞ্জিনিয়ার হয়ে উঠেছেন বিংশের কালের নায়ক।
৫. মোহাম্মদ খালেদের বয়ান
‘ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেকই আমাকে নিয়ে এলেন সাংবাদিকতায়। এমন একজন মহাত্মার পরশ নিয়ে আমি বড় হয়েছি, যিনি ছিলেন নিখাদ খাঁটি মানুষ। ১৯২৯-এর কথা ভাবুন তো, ক’জন ছিলো তার মতো ইঞ্জিনিয়ার? তখনকার সময় তার মতো ইঞ্জিনিয়ার, তাও আবার মুসলমান, যেমন তেমন কথা? সব কিছু ছেড়ে তিনি ঝুঁকি নিলেন, প্রতিষ্ঠা করলেন কোহিনূর লাইব্রেরী। মানুষজন তখন বইপত্র তেমন কিনতেন না। এমনি এসে বই পড়ে যেতেন। লাইব্রেরী ব্যবসা লাভজনক ছিলো না, তবুও তিনি বন্ধ করে দেননি। কারণ তিনি চাইতেন, মানুষ বই না কিনুক, তারপরও এখানে এসে পড়ুক। মানুষের মনের খোরাক দিতে এবং মানুষকে জ্ঞান দান করবার জন্যই তিনি কোহিনূর লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠা করেন। পরে প্রতিষ্ঠা করেন কোহিনূর ইলেকট্রিক প্রেস। ১৯৩২-৩৩ খ্রিস্টাব্দে ইলেকট্রিক কোম্পানির চাকরি ছেড়ে দিয়ে তিনি কোহিনূর লাইব্রেরী ও কোহিনূর ইলেকট্রিক প্রেস নিয়ে পড়ে রইলেন। ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দের ২২ ডিসেম্বর থেকে তিনি বের করলেন কোহিনূর নামের একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা। ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে এসে তার ইচ্ছে হলো চট্টগ্রাম থেকে একটি পত্রিকা বের করবেন। একদিন আমাকে ডেকে নিয়ে বসালেন। বললেন, খালেদ আমার দীর্ঘদিনের শখ ও ইচ্ছা, চট্টগ্রাম থেকে একটি দৈনিক পত্রিকা বের করার। তুমি যদি আমার সাথে ওয়াদা করো, পত্রিকার সাথে থাকবে, তাহলে আমি উদ্যোগ গ্রহণ করবো। আমি তার কাছে ওয়াদা করলাম। তিনি কঠিন পরিশ্রম করে সত্যি সত্যি দৈনিক আজাদী নামে একটি পত্রিকার অনুমোদন নিয়ে আসলেন। ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দের ৫ সেপ্টেম্বর দৈনিক আজাদীর যাত্রার সাথে তিনি আমাকে সাংবাদিক বানালেন। তার মৃত্যুর পর আমি হলাম সম্পাদক। এই হলো আমার সাংবাদিকতা জীবনের পদযাত্রা।’ (মোহম্মদ খালেদ : রাশেদ রউফ)
৬. স্মরণ ও অনুসরণ : মোহাম্মদ আবদুল খালেক ইঞ্জিনিয়ার চর্চা
মোহাম্মদ আবদুল খালেক ইঞ্জিনিয়ারের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত তা গণমাধ্যম বা সমাজহিতৈষী নতুন প্রজন্মকে স্মরণ ও অনুসরণ করতে হবে এবং তার চর্চা বাড়াতে হবে। গত শতাব্দীর শেষ দশকে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন চৌধুরী ও চট্টগ্রাম কলেজের প্রয়াত অধ্যক্ষ রওশন আকতার হানিফের প্রেসিডেন্টশিপে একটি গুণীজন সম্মাননা পর্ষদ গঠন করা হয়েছিলো। এর বিহাইন্ড দ্যা সিন মূলত আমি ছিলাম। আমরা এর উদ্যোগে মোহাম্মদ আবদুল খালেক ইঞ্জিনিয়ারের উপর বেশ কয়েকটা স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠানের আয়োজন করি। সেখানে সাংবাদিক এ বি এম মুসা, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, বিচারপতি হাবিবুর রহমান, ইউজিসির আরেক চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান স্মারক বক্তৃতা দিয়েছিলেন। এদের বক্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই মোহাম্মদ আবদুল খালেক ইঞ্জিনিয়ারের গণমাধ্যম ও সমাজহিতৈষীর একটা এপিক ক্যারেকটার উঠে এসেছে। আমাদের জানামতে তার সুযোগ্য পুত্র আজাদীর সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল মালেক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে একটি বৃত্তি চালু করেছেন। এবং চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবেও তার স্মারক রয়েছে। খালেক-খালেদ স্মরণে চট্টগ্রামে কয়েকটি দিবস উদযাপন কমিটি আমরা মনে করি গত শতাব্দীর চট্টল মনীষাদের স্মরণ ও অনুসরণ আমাদের আগামী প্রজন্মকে সমৃদ্ধ করবে।
৭. তোমার পতাকা যারে দাও
‘তোমার পতাকা যারে দাও/ তারে বহিবারে দাও শক্তি।’ আজাদীর ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথ যথার্থ। তিনি রেখে গেছেন যোগ্য উত্তরসূরী। মোহাম্মদ খালেদ। ১৯৭০ এর নির্বাচনে খর্বকায় মোহাম্মদ খালেদ দীর্ঘদেহী পাকিস্তানের আয়রনম্যান, স্পিকার ও অস্থায়ী প্রেসিডেন্টকে পরাজিত করেছেন। সর্বোচ্চ বেসামরিক খেতাব স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, সংবিধান প্রণেতা, বঙ্গবন্ধু মনোনিত উত্তর চট্টগ্রাম গভর্নর মোহাম্মদ খালেদ। তার জীবদ্দশায় আমিই প্রথম কবিতা লিখি “তাকে দেখলেই মনে হয়/ শুভ্র বিবেক হেঁটে যায়/ এই দুর্গত বাংলায়।” মোহাম্মদ খালেদ-এর জীবদ্দশায় ও মৃত্যুর পর আজাদীর হাল ধরেন সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল মালেক। তার সম্পাদিত আজাদী লাভ করেন প্রেস কাউন্সিল পদক। সুদর্শন সজ্জন, এই মিডিয়া মোগল, স্মার্ট, লায়ন্স গভর্নর, ট্রেডবডি নেতা, চট্টগ্রামের বহুমাত্রিক চ্যারিটির মহসীন তুল্য, সাহিত্য-সংস্কৃতি পেট্টন, উইটি ব্যক্তিত্ব। তার বহুমাত্রিক সংঘ ও সঙ্গে মুগ্ধ হয়ে যাই আমরা। তার স্ত্রী কামরুন মালেক এখন লায়ন গভর্নর ও ট্রেড বডি নেতা। এখন মাতৃরূপেনসংস্তিতা হয়ে আমাদের সমাজে আছেন। আজাদীর পরিচালনা সম্পাদক ওয়াহিদ মালেক কস্টিউম ও কালচারে পিতার মতো বিনয়ী নম্রভাষী। শিহাব মালেক অত্যন্ত ইন্ট্রোভার্ট সাধু তরুণ। সানজিদা মালেক আজাদীর সৃজনের সাথে আছেন। ফাহমিদা মালেকের গান ও গুণের কথা আমরা শুনেছি, আল্লাহ সোবাহানুতালা তার শীর্ষ আশেকে রাসুল ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেকের রক্তীয়দের, আজাদীর সাংবাদিকদের নেক হায়াত দান করুন। আমিন।
রেফারেন্স : ১. রবার্ট ফিক্স- দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট, লন্ডন। ২. আজাদীর ৫২ বছর উপলক্ষে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভাষণ। ৩. বাংলা একাডেমি প্রকাশিত গ্রন্থ মোহাম্মদ খালেদ : রাশেদ রউফ। ৪. মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর, প্রয়াত গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব। ৫. হাজার বছরের চট্টগ্রাম। ৬. চৌধুরী জহুরুল হক। ৭. গুণীজন সম্মাননা পর্ষদ (১৯৯৩-২০০৪)।