কালুরঘাট সেতু যেন এক মরণফাঁদ! দিনের পর দিন, বোয়ালখালীবাসীর অভিশাপ হিসেবে বিবেচিত। ট্রেনের চাপায় কত লোক কাটা পরেছে। আমাদের এ দুঃখ কষ্ট লাগব হবে কবে নাগাদ ? উন্নয়নের ছোঁয়ায় পাল্টে গেছে বাংলাদেশের রাস্তা-ঘাট। কিন্তু দক্ষিণ চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক প্রবেশ-দ্বার কালুরঘাট সেতু আজো অবহেলার স্বীকার। একমুখী এই কালুরঘাট সেতুতে যানযট লেগে থাকে অবিরাম। দীর্ঘ যানযটে রোগী যন্ত্রণায় কাতরায় কত মুমূর্ষু ও ডেলিভারী রোগীর প্রাণ যায়। এ যেন এক মড়ার উপর খড়ার গাঁ, বোয়ালখালী আজো অজপাড়া গাঁ। কখনো সেতুতে যানবাহন যদি বিকল হয় অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত, যান চলাচল বন্ধ থাকে। জনগণের ভোগান্তির মাত্রা তীব্র হয়,একটি নতুন সেতুই হতে পারে সবকিছুর সমাধান। সরকার প্রধান, সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সু-দৃষ্টি হলে বোয়ালখালীবাসীর দুঃখ অচিরেই লাগব হবে, অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠবে। বর্তমান সরকার উন্নয়নের সরকার, জরাজীর্ণ সেতু ও ভাঙা রাস্তা-ঘাট, নবরূপে, নবসাজে নির্মাণ করে এই সরকার। দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও বোয়ালখালীবাসীর দাবি একটাই অচিরেই রেলকাম সড়ক- সেতুর বাস্তবায়ন চাই। দক্ষিণ চট্টগ্রাম, কক্সবাজার রেললাইনের আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণে কালুরঘাট রেলকাম সড়ক-সেতু নির্মাণের বিকল্প নেই। আর নয় ট্রেনে কাটাপড়া ও মুমূর্ষু রোগীর লাশ! এবার কালুরঘাট সেতুর বাজেট হবে একনেকে পাশ!
লেখক: তরুণ সাহিত্যকর্মী, ব্যাংকার।
