বৃটিশ আমলে নির্মিত ৯২ বছরের জরাজীর্ণ কালুরঘাট সেতুটি চলাচলের অনুপযোগী হওয়ার কারণে বোয়ালখালীবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি কালুরঘাট রেল সংযুক্ত সড়ক সেতু বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা, পরবর্তীতে একবার একনেকের সভায় পাস হয়ে নকশা প্রণয়নের পরেও এখন পর্যন্ত কালুরঘাট সড়ক সংযুক্ত রেল সেতু দৃশ্যমান না হওয়ায় চট্টগ্রামবাসী হতাশ হয়েছে। বর্তমান সরকারের সময়ে দেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে চট্টগ্রামসহ দেশব্যাপী ব্যাপক উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ আজ দৃশ্যমান হলেও। নেই শুধু কালুরঘাট সেতু। চট্টল বিদ্বেষী অপশক্তির ষড়যন্ত্রের কারণে কালুরঘাট রেল সংযুক্ত সড়ক সেতু বাস্তবায়ন হচ্ছে না বলে চট্টগ্রামের বোয়ালখালীবাসীরা মনে করেন। এতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ হয়ে চট্টগ্রামের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণের বহিঃপ্রকাশ বলে ধারনা করে তারা মনে করেন যেখানে দেশের রাজস্বের সিংহ ভাগ যোগানদাতা বন্দর নগরী চট্টগ্রামের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কালুরঘাট রেল সংযুক্ত সড়ক সেতু নির্মাণ প্রকল্প উপেক্ষিত হবে তা কল্পনা করা যায় না। কারণ কালুরঘাট সড়ক সংযুক্ত রেল সেতু নির্মাণ ছাড়া চট্টগ্রাম কক্সবাজার ঘুমধুম রেললাইনের সুফল পাওয়া যাবে না। কালুরঘাট রেল সংযুক্ত সড়ক সেতু নির্মাণের কথা বহুবার জাতীয় সংসদেও আলোচনায় এসেছে। কালুরঘাট সেতুর বাস্তবায়নের অঙ্গীকারে বর্তমান সরকারের প্রয়াত দুইজন সাংসদ মাঈনুদ্দিন খান বাদল ও মোছলেম উদ্দিন আহমদ শেষ পর্যন্ত সেতু দেখাতে পারেননি। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। অনতি বিলম্বে কালুরঘাট সড়ক সংযুক্ত রেল সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন অন্যতায় সেতুর দাবি নিয়ে চট্টগ্রামবাসীদের বৃহত্তর আন্দোলনের রূপ নেবে বলে এলাকাবাসী মনে করেন।