কালুরঘাট সেতুর নির্মাণকাজ বিলম্বের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর ‘অন্তঃকোন্দল’ রয়েছে বলে মনে করেন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত চট্টগ্রাম–৮ আসনের প্রার্থী ডা. মো. আবু নাছের। তিনি বলেন, কালুরঘাট সেতু নিয়ে কথা বলতে বলতে রাজনৈতিক নেতারা হাসির পাত্র হয়ে গেছেন। দলগুলোর অন্তঃকোন্দলের কারণে একজন এগিয়ে গেলে আরেকজন পেছনে টানে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে অন্তঃকোন্দল থাকলেও জামায়াতে ইসলামীতে নেই বলে দাবি করেন তিনি।
গতকাল শনিবার দুপুরে নগরের একটি রেস্টুরেন্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম–৮ আসনে জামায়াতের নির্বাচন পরিচালক ও মহানগর জামায়াতের অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী। আবু নাছের বলেন, কালুরঘাট সেতু ইমার্জেন্সি ইস্যু হয়ে গেছে। এটা নিয়ে কথা বলতে বলতে রাজনীতিবিদরা প্রতারক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে গেছেন। রাজনীতিবিদদের বাদ দিলে তো দেশ চলবে না। এটা থেকে বাঁচার জন্য হলেও কাজটা শুরু করতে হবে। কালুরঘাট সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করতে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে গিয়ে ধর্না দিয়েছেন দাবি করে তিনি বলেন, এটা পদ্মা সেতুর মতো বড় কোনো কাজ না। মাত্র ১৪ হাজার কোটি টাকার একটা প্রকল্প। প্রকল্প পরিচালকও নির্ধারণ হয়ে গেছেন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম শহরের সঙ্গে বোয়ালখালী ও পটিয়া উপজেলার একাংশের যোগাযোগের মাধ্যম শতবর্ষী এ কালুরঘাট সেতু। পাশাপাশি বন্দর নগরীর সঙ্গে কক্সবাজারের রেল যোগাযোগেরও অন্যতম সংযোগ। গত ১৪ মে চট্টগ্রামের সার্কিট হাউস থেকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তরের স্মারক ফলক উন্মোচন করেন। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সাত মাস পেরোলেও এখনো নির্মাণকাজ শুরু হয়নি। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি : ডা. মো. আবু নাছের অস্ত্রধারীদের ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, নির্বাচনের পূর্বে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা না গেলে সাংবাদিকদের যেমন নিরাপত্তার ঘাটতি সৃষ্টি হবে, একইভাবে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাও থাকবেন শঙ্কায়। তিনি বলেন, প্রশাসন সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করলে আমাদের পক্ষ থেকে সাধুবাদ। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে চিরুনি অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হোক। আমাদের পক্ষ থেকে সন্ত্রাসীদের বিষয়ে কেউ সুপারিশ করতে গেলে তাকেও যাতে ছাড় দেওয়া না হয়। আমরা অন্যায়কারীকে কোনোভাবে সহ্য করব না। আমরা একটা সুষ্ঠু, স্বাভাবিক নির্বাচন চাই। এক্ষেত্রে আমরা আমাদের সকল জনশক্তি, কর্মী, সাধারণ জনতা এবং ভোটারদেরকে ঢাল হিসেবে নিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে ভূমিকা রাখব। তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনের সাথে সাক্ষাৎ করেছি। নির্বাচন কমিশনকে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের ব্যাপারে বেশি তাগাদা দিয়েছি। যে সন্ত্রাসী–মাস্তানরা দীর্ঘদিন এই এলাকায় আছে এবং প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের সাথে সাথে নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করে, তাদেরকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করার বিষয়ে তাগাদা দিয়েছি।












