চট্টগ্রাম–৮ (চান্দগাঁও–বোয়ালখালী) সংসদীয় আসনের সদস্য আবদুচ ছালাম বলেছেন, চান্দগাঁও–বোয়ালখালীসহ চট্টগ্রামবাসীর বহুল প্রত্যাশিত কালুরঘাট সেতুর ঋণচুক্তির মধ্যদিয়ে এই অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক সদিচ্ছায় অবশেষে আজ (গতকাল) কালুরঘাট সেতু নির্মাণে দক্ষিণ কোরিয়ার এক্সিম ব্যাংকের সাথে ৮ হাজার ২শ’ কোটি টাকা ঋণচুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। মোট সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকায় নির্মিত হবে রেল কাম সড়ক সেতুটি। ফলে এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে গেল বহুল প্রত্যাশিত কালুরঘাট সেতু। সেতুটি আমার নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রাম–৮ (চান্দগাঁও–বোয়ালখালী) আসনে হলেও রেল কাম সড়ক সেতুটি নির্মাণের মধ্যদিয়ে দেশের পর্যটনসহ এই রেলপথ যোগাযোগ ও দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। এই একটি মাত্র সেতুর জন্য আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষ যেমন বছরের পর বছর অধীর আগ্রহে ছিলেন–তেমনি রেল কাম সড়ক সেতুটি দেশের পর্যটন এবং অর্থনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
গত ২৫ জুন জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২৪–২৫ অর্থবছরের বাজেটের উপর আলোচনায় আমি–মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতায় কালুরঘাট সেতু নির্মাণ প্রকল্পটির অনুমোদন প্রক্রিয়া এগিয়ে আসায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলাম। আজ দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে ঋণচুক্তির মধ্যদিয়ে
চট্টগ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের দাবিটি পূরণ হতে যাচ্ছে। এজন্য আমি আমার নির্বাচনী এলাকাসহ চট্টগ্রামবাসীর পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আজকের এই খুশির খবরে আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষসহ চট্টগ্রামবাসীর মধ্যে আনন্দের ঢেউ বইছে।
গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এলাকার সাধারণ মানুষের শুধু একটাই দাবি ছিল কালুরঘাট সেতুটি নির্মাণের মধ্যদিয়ে তাদের শত কষ্ট আর দুর্ভোগের হাত থেকে মুক্তি দেয়া। তাদের প্রত্যাশা ছিল–কাজটি (সেতুটি) আমি পারবো। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে আমি সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক সদিচ্ছায় নতুন রেল কাম সড়ক সেতুটির ডিজাইন হলো, দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে ঋণচুক্তির ধারাবাহিক অগ্রগতির পর আজ ঋণচুক্তিও স্বাক্ষরিত হলো। এর মধ্য দিয়ে সেতুটি বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে গেল।