কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীতে ফেরির সাথে নৌকার ধাক্কা লেগে দুইজন যাত্রী নিখোঁজ হয়েছেন। গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে যাত্রীবাহী নৌকাটি বোয়ালখালীর দিক থেকে চট্টগ্রাম শহরে আসার পথে ফেরির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যায়। এসময় ২ যাত্রী নিখোঁজ হয়।
এই ব্যাপারে নৌ পুলিশের ওসি একরাম উল্লাহ আজাদীকে বলেন, ইঞ্জিন চালিত নৌকাটিতে দুই পাশে ৬ জন করে ১২ জন যাত্রী বসেছিলেন। নৌকা ছাড়ার আগ মূহূর্তে জোর করে আরো দুই যাত্রী উঠে পড়েন। তারা নৌকার মাথায় দাঁড়িয়ে থাকেন। নৌকাটি ছেড়ে দিলে উল্টো দিক থেকে আসা ফেরির সঙ্গে ধাক্কা লেগে নৌকাটি উল্টে যায়। এসময় ৪ জন যাত্রী নদীতে পড়ে যায় বলে স্থানীয়রা জনিয়েছেন। ৪ জন যাত্রীর মধ্যে ২ জনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করেন। আরো ২ জন নিখোঁজ আছে বলে তারা আমাদেরকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। দুর্ঘটনার পর ইঞ্জিন নৌকাটির চালক পলাতক রয়েছে। আমরা তাকে শনাক্ত করেছি। তার বাড়ি শাকপুরা। নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল রাত ৮টা পর্যন্ত উদ্ধার কাজ চালিয়েছিল। আজ রবিবার সকাল থেকে আবার উদ্ধার কাজ শুরু হবে।
এদিকে ফায়ার সার্ভিসের কালুরঘাট স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার বাহার উদ্দিন বলেন, বিকেল ৫টায় কালুরঘাট সেতুর চট্টগ্রাম নগরীর অংশ থেকে সেতুর বোয়ালখালী অংশে যাওয়ার সময় ফেরির সাথে বোয়ালখালীর দিক থেকে আসা একটি নৌকার ধাক্কা লাগে। এ সময় নৌকার সম্মুখে থাকা দুইজন ফেরির নিচে পড়ে যায়। একজনের নাম আশরাফ উদ্দীন কাজল (৪৮) বলে জানা যায়। আর একজনের নাম জানা যায়নি। দুইজনই নিখোঁজ আছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। রাত আটটা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করার পরেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি। আশরাফ উদ্দীন কাজল বোয়ালখালী পৌরসভার পূর্ব গোমদণ্ডী ৩ নম্বর ওয়ার্ড মরহুম মেজর হাবিবুর রহমানের ছেলে। অপরজনের নাম ঠিকানা (এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত) পাওয়া যায়নি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বোয়ালখালী পৌরসভার মেয়র জহুরুল ইসলাম জহুর বলেন, নিখোঁজ ব্যক্তিদের মধ্যে একজন চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি–১ এর পরিচালক আশরাফ উদ্দীন কাজল ছিলেন। স্থানীয়রা বলেছেন আরো একজন নিখোঁজ রয়েছে। রাত আটটায় উদ্ধার অভিযান স্থগিত হয়েছে। সকাল থেকে আবারো উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হবে।