কর্ণফুলীতে প্রস্তাবিত কালুরঘাট নতুন সেতু অবিলম্বে বাস্তবায়ন জাতীয় স্বার্থে জরুরি। কিন্তু রহস্যজনক কারণে এ সেতু নির্মাণ নিয়ে গড়িমসি ও দীর্ঘসূত্রতা চলছে প্রায় দশ বছর ধরে। সার্বিক মূল্যস্ফীতির কারণে যেন এ জনগুরুত্বপূর্ণ সেতু প্রকল্পটি থেকে সরে না আসা হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন।
কালুরঘাটে নতুন সেতু নির্মাণের দাবিতে চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের উদ্যোগে নগরীর আন্দরকিল্লা চত্বরে গতকাল বুধবার দুপুর ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত গণ অনশন অনুষ্ঠিত হয়। গণ অনশন চলাকালে সমাবেশে ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের মহাসচিব মোকামাল উদ্দীনের পরিচালনায় দলমত নির্বিশেষে পেশাজীবী, রাজনৈতিক, সাংবাদিক, সামাজিক ও ক্রীড়া সংগঠনের প্রতিনিধি ও সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন।
বক্তারা আরো বলেন, সরকারের পক্ষ হতে নতুন করে একটি সেতু নির্মাণের কথা বলা হলেও তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। সেতুটির বয়স ৯০ বছর পার হয়ে গেছে। ভারি যানবাহন চললেই দুলে ওঠে। ট্রেন চলাচলের সময় সেতুটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। মাঝে মাঝে সেতুতে যানবাহন আটকে গেলে চরম দুরবস্থায় পড়েন সেতুর উভয় পাড়ের যাত্রীরা।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বোয়ালখালী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. সেলিম, নাগরিক ফোরামের ভাইস চেয়ারম্যান শিল্পী শাহরীয়ার খালেদ, কাজী গোলাফ রহমান, কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল মোমিন, সাংবাদিক মুস্তফা নঈম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজল আহমেদ, মিটুল দাশগুপ্ত, নাগরিক ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শেখ জাহেদ, অধ্যক্ষ ফরিদ আহমদ, মিলন বড়ুয়া, মো. ফোরকান, অ্যাডভোকেট মাসুদুল আলম বাবলু, মির্জা ইমতিয়াজ শাওন, সাজ্জাদ, নোমানুল্লাহ বাহার, আলমগীর রানা প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।