কালভার্ট নির্মাণে ৬ মাসেও অগ্রগতি নেই

শিক্ষার্থীসহ জনসাধারণের দুর্ভোগ

বান্দরবান প্রতিনিধি | শনিবার , ১৮ নভেম্বর, ২০২৩ at ৫:৩৭ পূর্বাহ্ণ

৬ মাসেও বান্দরবানের বালাঘাটা জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কে কালভার্ট নির্মাণ কাজের অগ্রগতি নেই। নানা অজুহাতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ বান্দরবানরাঙামাটি সড়কে চলাচলকারী জনসাধারণ।

জানা যায়, সড়ক ও জনপথ বিভাগের অর্থায়নে দেড়কোটি টাকা ব্যয়ে ১২ মিটার লম্বা এবং ১০.২ প্রস্তের বালাঘাটা সড়কে কালভার্টটি নির্মাণ কাজের টেন্ডার দেয়া হয়। উন্নয়ন কাজটি পান রাঙামাটির ঠিকাদার নূরুল কবীর। কার্যাদেশ পেয়ে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে কালভার্ট নির্মাণের কাজ শুরু হয়। তড়িঘড়ি করে বান্দরবান ক্যান্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের সামনের বান্দরবানরাঙামাটি সড়কের পুরনো বেইলি ব্রিজটি ভেঙে ছড়ার পাশ্ববর্তী পূর্বদিকে প্রাথমিকভাবে ছড়াটি কিছুটা ভরাট করে বিকল্প বেইলি সেতু বসিয়ে যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু গত ৬ মাসেও কালভার্টটি নির্মাণে কোনো অগ্রগতি নেই। সড়কের দুপাশে নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখায় জনসাধারণের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা তৌহিদুল ইসলাম, মোবারক হোসেন, মোহাম্মদ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘদিনেও কালভার্টের নির্মাণ কাজের কোনো অগ্রগতি নেই। নানা অজুহাতে নির্মাণ বন্ধ রাখায় জেলার উপশহর বালাঘাটার জনসাধারণ এবং বান্দরবানরাঙামাটি সড়কের যাত্রীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। ভোগান্তিতে পড়েছে সড়কে চলাচলকারী বান্দরবান ক্যান্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজ, যুব উন্নয়নের শিক্ষার্থীরাও। দ্রুত এটি নির্মাণের মাধ্যমে জনগণের ভোগান্তি লাঘবে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।

এদিকে উন্নয়ন কাজের ঠিকাদার নূরুল কবীর জানান, সামপ্রতিক বন্যাসহ বৃষ্টির কারণে কালভার্টের নির্মাণ কাজ কিছুদিন বন্ধ ছিল। তবে পুনরায় কাজ শুরু হয়েছে। নিয়মনীতি মেনেই কাজটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বান্দরবান সড়ক ও জনপথ বিভাগের দায়িত্বশীল ইঞ্জিনিয়ার থোয়াইন চাকমা জানান, বৃষ্টি হলে ছড়াতে পানি জমে যাওয়ায় ঠিকমত কাজ সম্ভব হয় না। সামপ্রতিক বন্যাও কাজে ব্যঘাত হয়েছে। কালভার্টের নিচের অংশের কাজগুলো শেষ হলে দ্রুত কাজ এগিয়ে যাবে। কাজের বিপরীতে কোনো বিল ছাড়া করা হয়নি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅন্ধকারে মীরসরাই, মোমবাতিও নেই
পরবর্তী নিবন্ধআনোয়ারায় অন্ধকারে ৯০ হাজার গ্রাহক